প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:০৮ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:২২ পিএম
নারী ফুটবল সাফল্য এনে দিচ্ছে একের পর এক। গেল সেপ্টেম্বরে নারী সাফ জয়ের পর চলতি মাসে দেশের মাটিতে যুব নারী সাফের শিরোপাও ঘরে তুলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সে তুলনায় বাংলাদেশ পুরুষ দলের সাফল্যের খেরো খাতা শূন্য। এর পেছনের কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন দায় দেখছেন পুরুষ ফুটবলারদের ফিটনেসেরই। যার পেছনের কারণ দেশের ফুটবল লিগের যা অবস্থা তা সালাউদ্দিনের চোখে ‘আন্তর্জাতিক মানের নয়’।
বাফুফে তাদের নারী ফুটবলারদের রাখে নিজেদের ক্যাম্পে। সেখানে সারা বছর একই ধরনের ফিটনেস ট্রেনিং চলে তাদের। তবে পুরুষ ফুটবলারদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতিটা ভিন্ন। নিজেদের ক্লাবেই অনুশীলন সারেন ফুটবলাররা। ফলে খেলোয়াড়দের পরিকল্পনাটা সেভাবে হয় না। সালাউদ্দিনের অভিমত, সেটাই প্রভাব ফেলেছে খেলোয়াড়দের ফিটনেসে।
আরও পড়ুন: হেরাথের স্পিন ক্লাসে একদিন
গতকাল বাফুফে ভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেয়েরা বাফুফের অধীনে আছে। তবে ছেলেরা তাদের ক্লাব যেভাবে ট্রেনিং করায়, যেভাবে রাখে, ওরা সেভাবেই থাকে। আমরা তাদের পাই সাত থেকে দশ দিন, কিংবা ১৫ দিন। ফিফা ক্যালেন্ডার ছাড়া ক্লাবগুলো যদি তাদের না ছাড়ে, আমরা তাদের পাব না। তো জাতীয় দলের পারফরম্যান্স নির্ভর করছে এই ছেলেদের ক্লাবের পারফরম্যান্স কী রকম তার ওপর।’
অর্থ সমস্যাসহ নানা অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবল আছে বেশ নাজুক অবস্থায়। সেটা সালাউদ্দিনেরও চোখ এড়ায়নি। ক্লাবের অনুশীলনসহ নানা ব্যবস্থাপনা নিয়ে তারর মূল্যায়ন, ‘ক্লাবের ট্রেনিং কেমন? আমি কিছু ম্যাচ দেখেছি। কিছু কিছু ক্লাবের খেলোয়াড়দের আমার খুব আনফিট লাগে। এটা ওই ক্লাবের, কোচের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: ডোনাল্ডও ফিরছেন আজ
সেটাই সালাউদ্দিনের কপালে ফেলছে চিন্তার ভাঁজ। তার কথা, ‘মেয়েদের ফুটবলে আমাদের সুবিধা হচ্ছে, ওরা সারা বছর আমাদের সঙ্গে থাকে। ফিটনেসের ওপর আমি কাজ করছি, সবকিছু আমি করি। কিন্তু ছেলেদের আমি পারি না। জাতীয় দল নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত।’
বসুন্ধরা কিংস আসার পর থেকে দেশের ফুটবল হয়ে গেছে বড্ড একপেশে। লিগ মৌসুমে প্রতিটা দলই যেন মাঠে নামে দ্বিতীয় স্থান নির্ধারণের লড়াইয়ে। এর কারণ মূলত বসুন্ধরার পেশাদারিত্ব। তবে জাতীয় দলের উন্নতি চাইলে আগে উন্নত করতে হবে দেশের ফুটবল লিগকে—অভিমত সালাউদ্দিনের।
তার কথা, ‘আমাদের পেশাদার দল কেবল বসুন্ধরা কিংস। আবাহনী পিছিয়ে পড়ছে, আশা করি তারা ঘুরে দাঁড়াবে। জাতীয় দলকে ভালো করতে হলে ক্লাবগুলোকে ভালো করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান রেষারেষিতে এশিয়া কাপ
ক্লাব ফুটবলের এই দশায় বিচিত্র এক ভাবনাও খেলে গেছে তার মগজে। ২৫ জন খেলোয়াড় কিনে নিয়ে নারী দলের মতো তাদের পরিচর্যা করার। সারা বিশ্বে ফুটবল কাঠামো যেমন, তাতে এমন দৃশ্য নেই আর কোথাও। মূলত ক্লাবগুলোর পেশাদারি মানে পৌঁছাতে ব্যর্থতাই তাকে এই ভাবনা ভাবিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে যদি টাকা থাকত, আমি ২৫টা প্লেয়ার কিনে নিতাম, মেয়েদের মতো ছেলেদেরও একটা দল দাঁড় করাতাম।’