দ্বিতীয় ওয়ানডে আজ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩ ১১:০৫ এএম
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩ ১৩:৩১ পিএম
সংগৃহীত ছবি
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন যখন হচ্ছে, তখনও জানা যায়নি তামিম ইকবাল ফিরছেন কি না। গত বৃহস্পতিবার তার বিদায়ের খবর গোটা ক্রিকেট পরিমণ্ডলকেই নাড়িয়ে দিয়েছে, তামিম যে সিরিজের অংশ ছিলেন, সে সিরিজে তার আঁচ লাগে না কী করে?
আরও পড়ুন - সমস্যা মিটল কি?
লাগলও। তামিমকে নিয়ে প্রশ্নও ধেয়ে এলো দুই অধিনায়ক লিটন দাস আর হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে লক্ষ্য করে। তবে সেসব তখন ডাক করে গিয়েছিলেন দুজনেই। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ আলাপের পর তামিম জানান- অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন, তবে থাকবেন দেড় মাসের ছুটিতে।
সিরিজে আর তাকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ, এটা নিশ্চিত ছিল আগেই। তবে গতকাল সিদ্ধান্ত বদলের পরও অবশ্য পরিস্থিতিটা বদলে যাচ্ছে না। তামিম থাকছেন না আর এই সিরিজে। লিটনের হাতেই থাকবে পরের দুই ম্যাচের নেতৃত্বের ব্যাটন।
নানা নাটকীয়তা-অতি নাটকীয়তার পরের বাস্তবতাটা হচ্ছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটায় এখন বাংলাদেশ পিছিয়ে ১-০ ব্যবধানে। তিন ম্যাচের সিরিজে এই অবস্থানের মানে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া। ভুলের সুযোগ নেই আর। যদি ভুলচুক কিছু হয়েই যায়, তাহলে সোজা খাদে।
সে খাদটা কী? ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজে আফগানদের কাছে হার। নিজেদের মাটিতে অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশ বেশ শক্তিশালী দল। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটো সিরিজ বাদ দিলে হারেনি একটি সিরিজেও। আফগানিস্তানের কাছে আরেকটা হার মানেই সে অহমে আঘাত লাগবে বিশাল।
ঠিক এমন পরিস্থিতিতে তামিমের মতো অভিজ্ঞ একজনের না থাকা কেমন প্রভাব ফেলবে দলে? লিটনের সোজাসাপ্টা উত্তর, তামিম চোটে পড়লেও তো একই পরিস্থিতি হতো, আপাতত দল থাকবে ওই মানসিকতা নিয়েই। তার কথা- ‘দেখুন, খেলোয়াড় কিন্তু সব একই আছে। বড় ভাই যদি গতকাল রিটায়ারমেন্টের ঘোষণা না দিয়ে যদি ইনজুরিতে পড়তেন তাহলে কি এই প্রশ্ন আসত? কখনোই না। আমরা একই দল থাকতাম। আমার কাছে মনে হয় এই জিনিসটা বাদ দিয়ে সামনে কী করতে পারি সেটা ভাবা। যেটা চলে গেছে সেটা নিয়ে ভেবে লাভ নেই।’
আরও পড়ুন: সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় আফগানরা
আগের দিন পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন আফগান স্পিনাররাই। মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খানদের সামনে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখলেন লিটন। তার কথা, ‘আমরা যারা মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করি তারা কিন্তু খুব বেশিক্ষণ স্পিন খেলতে পারিনি। আমি, শান্ত হয়তো ৬-৭ বল খেলেছি। মুশি ভাই ২-৩ বল। মিরাজ, আফিফও একই, কয়েকটি বল খেলেছে। সাকিব ভাই অনেক দিন পরে খেলেছেন, কাজটা খুব সহজ নয় একটা চাপের মুহূর্তে খেলা ও রিদম খুঁজে পাওয়া।’
সব মিলিয়ে আগের ম্যাচে বাংলাদেশ যে অনেক ভুল করেছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই লিটনের। তার পুনরাবৃত্তি থেকে বিরত থাকতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক। তার কথা, ‘আমি যেটা বললাম আগের ম্যাচে যে সিলি মিসটেক করেছি, যেটা যেন আর না করি। আমরাও জানি তাদের প্রধান অস্ত্র স্পিন মিডল ওভারে। আপনি যত কম উইকেট হারাবেন ততই গেমে থাকবেন।’
তামিমের অবসরের ঘোষণার ফলে ওপেনিং পজিশনে যে বদল আসছে, তা একরকম নিশ্চিত। তার বদলে রনি তালুকদারকে দলে ঢোকানো হয়েছে। সেই রনিকেই দলে দেখার সম্ভাবনা বেশি। তাহলে যে দলের বাকি কাঠামোয় খুব একটা পরিবর্তন আনতে হয় না!
তবে সব মনোযোগ ওই সিরিজেই, যে করেই হোক সিরিজ হার এড়ানোয়। সবকিছু একপাশে রেখে মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে সিরিজে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ এবার লিটন দাসদের সামনে।