বাংলাদেশের পুঁজি মোটে ২০৯ রান

লিটন দাস আর তামিম ইকবালের এনে দেওয়া দারুণ শুরুটা শেষমেশ কাজে লাগানো গেল না মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায়। বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে মাত্র ২০৯ রান তুলতেই।

মিরপুরে আজ টস জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। শুরুর দিকে বল ব্যাটে আসছিল ঠিকঠাক, সঙ্গে ইংলিশ বোলাররা যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন নো বলের। শুরুর ৪ ওভারেই দুটো নো বল করে ফেলেছিলেন ওকস আর জফরা আর্চার মিলে। বাংলাদেশও ফায়দা তুলল, অন্তত শুরুর দিকটায়। ৪ ওভার শেষে ২৭ তুলে আভাস দিচ্ছিল বড় সংগ্রহের।

তবে ছন্দপতনের শুরু এরপর। লিটন দাস ছক্কা হাঁকানোর পরই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ওকসের বলে। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে তামিম ফিরলেন মার্ক উডের বলে বোল্ড হয়ে। বাংলাদেশের রান তখন ৫৩। 

আরও পড়ুন: খাজার ব্যাটে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরোধ

সাকিবের জায়গা তিনে উঠে আসেন একাদশে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে সঙ্গ দিতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। তবে ৬১ বলে তাদের ৪৪ রানের জুটিটা শেষ হয় মুশফিকের দোষে। আদিল রশিদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশফিক। এরপর সাকিবও ফেরেন অবিমৃশ্যকারী এক শটে, মইন আলীকে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন। 

ইনিংসের সবে ২৩ ওভার শেষ তখন। চার ব্যাটারের বিদায়ে নতুন করে গড়া প্রয়োজন ছিল, সেটা করতে গিয়েই রান রেটটা নেমে যায় দলের। সেটা আর সাড়ে চারের ওপর তোলা হয়নি মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায়। 

আরও পড়ুন: ভারতে তিন দিনেই টেস্ট হারল অস্ট্রেলিয়া

সাকিব ফেরার পর মাহমুদউল্লাহ ধীরগতির ইনিংসে সঙ্গ দিচ্ছিলেন শান্তকে। ৪৮ বলে ৩১ রান করে তিনিও ফিরে গেলে বাংলাদেশ চাপেই পড়ে যায়। এরপর সেটা ক্রমে বাড়তে থাকে ফিফটির পর শান্ত বিদায় নিলে। ৮২ বলে ৫৮ রান করা শান্তর বিদায়ের পরই কার্যত ইনিংস শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। এরপর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজির দর্শকরা কেবল ব্যাটারদের আসা-যাওয়াই দেখেছেন। লোয়ার মিডল অর্ডারে আসা আফিফ হোসেন আর মেহেদি হাসান মিরাজ ফেরেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। 

শেষ দিকে তাসকিন আহমেদের একটি করে ছক্কা চারে ১৮ বলে ১৪, আর তাইজুল ইসলামের ১৩ বলে ১০ রানে পুঁজিটা ২০০ পেরোয় বাংলাদেশের। ৪৮তম ওভারে যখন মইন আলীর শিকার হয়ে তাইজুল ফেরায় শেষ হলো স্বাগতিকদের ইনিংস, বাংলাদেশের পুঁজি তখব গিয়ে দাঁড়ায় ২০৯ রানে।