প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৬ পিএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:২৭ পিএম
দুঃসময়কে তাড়াতে ম্যাচটি জেতা বড্ড প্রয়োজন ছিল চেলসির। চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রতিপক্ষ বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে শুরু থেকে আভাসও মিলছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। ধুঁকতে থাকা চেলসির জন্য এই ম্যাচটি হতে পারত নতুন শুরুর আগমনী বার্তা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি সেটি। ১-০ গোলে হেরে প্রথম লিগে পিছিয়ে পড়েছে গ্রাহাম পটারের দল। তবে ঠিকই মিলেছে বদলে যাওয়ার আভাস। ম্যাচ শেষে তাই হতাশা নেই পটারের কণ্ঠে। উল্টো দলের উন্নতিতেই খুশি তিনি।
এদিন প্রতিপক্ষের ডেরায় নিজেদের সবটুকু নিংড়ে দিয়েছিল চেলসি। বল দখলেও টেক্কা দিচ্ছিল সমানতালে। ম্যাচের ৪৯ শতাংশ বল দখলে রেখে আক্রমণেও মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছিলেন পটারের শিষ্যরা। গোলের উদ্দেশ্যে শট নেওয়ায়ও এগিয়ে ছিলেন তারা। তবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি। উল্টো এ ম্যাচে ১০ হলুদ কার্ড দেখেছেন দুই দলের ফুটবলাররা। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের একপর্যায়ে হাতাহাতিতেও জড়াতে দেখা গেছে দুদলের ফুটবলারদের।
আরও পড়ুন: যেখানে ম্যারাডোনার সঙ্গে পার্থক্য মেসির
আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণের প্রথমার্ধ থেকেছে গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধেও একই পথে এগোচ্ছিল ম্যাচের গতিপথ। পরে ডর্টমুন্ড তারকা করিম আদেইয়েমি এগিয়ে নেন দলকে। থিয়াগো সিলভার হেড থেকে বল পেয়ে করিম আদেইয়েমিকে বাড়ান রাফায়েল গেরেইরা। ২২ বছর বয়সি জার্মান ফরোয়ার্ড নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে ছুটে যান চেলসির ডি-বক্সের দিকে। পথে বাধা হন এনজো ফার্নান্দেজ। তাকে এড়িয়ে চেলসি গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে পাঠান আদেইয়েমি। তার করা ওই গোলটিই শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। বাকি সময় চেষ্টা চালিয়েও গোল শোধ দিতে পারেনি চেলসি।
তবে গোল ব্যবধান না বাড়ানোর দায় দিতে হতে পারে ডর্টমুন্ডকে। কেননা ফিরতি লিগে নিজেদের মাঠে ডর্টমুন্ডকে ছেড়ে কথা বলবে না চেলসি। চেলসি-ডর্টমুন্ড শেষ ষোলোর ফিরতি লিগ ৭ মার্চ। দিনের অপর চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রাগাকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা।
আরও পড়ুন: ‘এখনও ২০ সেকেন্ড আছে, লড়ো’
তবে ম্যাচ হারলেও এদিন দলের খেলায় মুগ্ধ ছিলেন চেলসি কোচ পটার। বিশ্বাস করেন ফিরতি লিগে তার দলই বাজিমাত করে পরের রাউন্ডে যাবে। তিনি বলেন, ‘পরের বার আমাদের আরও ভালো করতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই ধাক্কা দিয়েছিলাম। ম্যাচ হারায় আমরা হতাশ হয়েছি, তবে খেলোয়াড়দের উন্নতিতে আমি খুশি। তারা জানে তারা আরও ভালো করতে পারবে। আমরা এখন ইতিবাচক দিকে মনোনিবেশ করব। কেননা তিন সপ্তাহের মধ্যে আমরা স্টামফোর্ড ব্রিজে খেলাটি নিতে পারব। তবে আমাদের ভাগ্য দরকার।’