প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:২৯ পিএম
একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আর্জেন্টাইনরা ফুটবল বলতে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে বুঝতেন। যদিও বহুদিন হয়েছে সেই দৃশ্যপট পাল্টেছে আর্জেন্টিনাই। মহাতারকা লিওনেল মেসি এখন আর্জেন্টিনা তথা বিশ্ব ফুটবলেই নন্দিত এক নাম। এ দুই তারকাকে নিয়ে অবশ্য বিতর্ক কম হয় না দেশটিতে। দুই সময়ের দুই তারকাকে নিয়ে প্রায়শই তর্কে জড়ান দেশটির ফুটবলপ্রেমীরা। সেই বিতর্কের মূল প্রশ্ন কে সেরা? মেসি না ম্যারাডোনা। সেই বিতর্কে না গিয়েই প্রশ্নের জবাবটা এবার দিয়েছেন বার্সা ও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লিগজয়ী জার্মান কিংবদন্তি ফুটবলার সুস্টার।
তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির হয়ে ১৯৮০ ইউরোজয়ী সুস্টার খেলোয়াড়ি জীবনে ‘ব্লন্ড অ্যাঞ্জেল’ নামে পরিচিত ছিলেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য ছোট-বড় শিরোপা জিতেছেন সাবেক এ মিডফিল্ডার। মেসিকে খুব কাছ থেকে না দেখলেও দেখেছেন ম্যারাডোনাকে। তবে আধুনিক ফুটবলে মেসিকেও দেখছেন দীর্ঘদিন ধরেই। সে কারণেই তিনি আর সবার থেকে আলাদা। বুঝতে পারেন কাতার বিশ্বকাপের পর সব পাওয়া হয়েছে মেসির। মেসি-ম্যারাডোনা বিতর্কে এখন আর কোনো অংশে পিছিয়ে নেই রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর সমর্থকরা। তবে এখনও মেসি-ম্যারাডোনার মধ্যে পার্থক্য দেখতে পান সুস্টার।
আরও পড়ুন: ‘এখনও ২০ সেকেন্ড আছে, লড়ো’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন আরও পরিণত মেসিকে দেখছি। সে আর আগের সেই তরুণটি নেই, যাকে দেখে লোকে ফুটবলের প্রেমে পড়েছে। ম্যারাডোনা ও তার মধ্যে আমি একটি পার্থক্যই দেখি। ম্যারাডোনা বহির্মুখী ছিল, যা মনে করত সেটাই বলত। মেসি তার মতো বলতে পারবে না ‘আমি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য মরব’। ডিয়েগো মনের ভেতর যা অনুভব করেছে, সেসব সতীর্থ, ভক্ত থেকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু মেসি এসব মনের ভেতর পুষে রাখে। যদিও মাঠের ভেতরে দুজন প্রায় একই রকম।’
মেসিকে ২০২৬ বিশ্বকাপে দেখার সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেছেন সুস্টার। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় কঠিন হবে। তবে সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সে কিন্তু নিজের যত্ন নেয়। এখন সবকিছু উন্নত হওয়ায় খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার লম্বা হয়। তাই সম্ভাবনা থাকলেও আমার মনে হয় কঠিন হবে।’