প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩ ১২:০৪ পিএম
এশিয়া কাপের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে অধিনায়ক ও কোচের যৌথ সংবাদ সম্মেলন। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যখন কথা বলছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পূর্ণ মনোযোগ ছিল সেদিকে। যখন সাকিবের পালা এলো, তখন জানালেন বিশ্বকাপ নিয়ে আপাতত কোনো ভাবনা নেই। লক্ষ্য রেখেছেন এশিয়া কাপে। টুর্নামেন্টটিতে তার আশা বহুদূর যাওয়ার। আশা বড় থাকলেও শুরুতে মুলত এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচ ঘিরেই সীমাবদ্ধ সাকিবের ভাবনা।
আরও পড়ুন : এমবাপে ফিরলেন, গোল করলেন, জয় পেল পিএসজি
গতকাল টুর্নামেন্ট খেলতে দেশ ছাড়ার আগে সাকিব বলেন, ‘যে ধরনের প্রস্তুতি ও স্কোয়াড আছে আমরা অনেক দূর যেতে পারব।’ এশিয়া কাপের প্রস্তুতি পর্বে ছিলেন না সাকিব। না থাকলেও ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি কেমন হয়েছে সেটা নিয়ে তার কাছে আছে স্পষ্ট ধারণা। এই নিয়ে তার ভাষ্য, ‘কোচ যেটা বলল খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। আমিও যতটুকু জেনেছি খুব ভালো প্রস্তুতি।’
এশিয়া কাপের পর নিউজিল্যান্ড সিরিজ। এরপর শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। এশিয়া কাপের প্রসঙ্গ এলে উঠে আসে বিশ্বকাপের কথাও। অধিনায়ক সাকিব সেই কথায় কান দিচ্ছেন না। আপাতত লক্ষ্যটা সীমাবদ্ধ রেখেছেন এশিয়া কাপে। এই নিয়ে সাকিব বলেন, ‘এখন সবকিছুতেই এশিয়া কাপের ভাবনা। আরও ছোট করে বলতে গেলে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা নিয়ে ভাবছি। বিশ্বকাপেরটা পরে ভাবা যাবে। দুটি আলাদা টুর্নামেন্ট। এশিয়া কাপে ভালো করলে বিশ্বকাপ ভালো হয়ে যাবে, এমন নয়। খারাপ করলেও খারাপ হয়ে যাবে না।’
এশিয়া কাপ নিয়ে সাকিব আরও বলেন, ‘প্রথম বিষয় হলো আমাদের প্রথম দুটো ম্যাচ খেলতে হবে। সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করতে হবে। আমরা একটা একটা ম্যাচ করে এগোতে চাই। এমন নয় যে একেবারে কোথায় যাব সেটা চিন্তা করছি। প্রতিটা ম্যাচ আমরা চিন্তা করব ও আমরা ওইভাবে প্রিপারেশন নেওয়ার চিন্তা করব। ভালো ফল করার চেষ্টা করব। যদি সুযোগ থাকে সব ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।’
এশিয়া কাপের দলে নেই তামিম ইকবাল। ইনজুরির কারণে খেলতে পারছেন না। এ ছাড়া দল থেকে বাদ পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের বদলি হিসেবে এসেছেন তরুণ কয়েকজন ক্রিকেটার। তারুণ্যনির্ভর দলে আছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী পাঁচ ক্রিকেটার। সাকিবের বিশ্বাস, তাদের মধ্যে আছে জয়ের মানসিকতা। এশিয়া কাপে পুরো দলকে তাদের মানসিকতা অনুপ্রাণিত করবে, সেই বিশ্বাস আছে দলনেতার মধ্যেÑ ‘ওরা যেহেতু একটা বিশ্বকাপ জিতেছে, ওদের মধ্যে জয়ের মানসিকতা আছে। আমার কাছে মনে হয় এটা দলকে আরও ভালো কিছু করতে অনুপ্রাণিত করবে।’ পাশাপাশি নতুন করে দলে ডাক পাওয়া তানজিদ হাসান তামিম ও তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে অধিনায়কের প্রত্যাশা বেশ ভালো, ‘আমি আশা করি যেন ওদের ক্যারিয়ার অনেক বড় হয় এবং বাংলাদেশকে অনেক দিন সার্ভিস দিতে পারে।’
এশিয়া কাপে দলের পরিকল্পনা নিয়ে সাকিব মনে করেন ব্যাটার-বোলার সবার জন্যই এশিয়া কাপে থাকবে চ্যালেঞ্জ। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে ভালো করতে পারবে বলেও মনে করেন তিনি। এই নিয়ে সাকিবের ভাষ্য, ‘এশিয়া কাপে পাল্লেকেলেতে আমাদের প্রথম খেলা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। ওখানে সাধারণত আগের রেকর্ড ব্যাটিং পিচ হয়ে থাকে। ব্যাটাররা রান করার সুবিধা পায়, বোলারদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। সেক্ষেত্রে ব্যাটারদের জন্য তাড়াতাড়ি রান করার চ্যালেঞ্জ বেশি।’ বেশ আগেভাগে যাওয়ায় কাজটা সহজ বলেও জানান, ‘যেহেতু আমরা তিন-চার দিন আগে যাচ্ছি, আমাদের জন্য মানিয়ে নিতে খুব একটা কঠিন হবে না।’