প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৩৩ পিএম
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৩৪ পিএম
‘আমি সেই জুজু যার এত নাম-গান, টোটাল এরিয়া জুড়ে ভয়ের দোকান’- চন্দ্রবিন্দুর গানের মতো বাস্তব জীবনের জুজুরা কখনও এমন কিছু নিজ কণ্ঠে বলে না, কাজেকর্মেই বুঝিয়ে দেয়। তার প্রভাব এতটাই যে, ক্রিকেট মাঠের প্রায় ৫০০ গজের ভেতর স্রেফ ক্রিকেটারদেরই দখলে থাকা আধিপত্যটা বদলে যায় কখনও-সখনও, চলে যায় অনাহূত অতিথিদের হাতে। এই যেমন সবশেষ লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে যেমন হলো! সেদিনের মতো ঘটনা ক্রিকেট মাঠে নিয়মিত না হলেও একেবারে বিরল কিছুও অবশ্য নয়।
আরও পড়ুন - বিশ্বকাপে পরিবর্তন আসতে পারে বাংলাদেশের ম্যাচে
সাপ এবং সাপ
এই গেল সোমবারের ঘটনা। লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে সাকিব আল হাসান সেদিন নেমেছিলেন গল টাইটান্সের জার্সি গায়ে। বোলিং প্রান্তে এলেন, বল করতে যাবেন, তখন আম্পায়ার রুখে দিলেন তাকে। কারণ? মাঠে যে সাপও ফিল্ডিং করতে ঢুকে পড়েছে! না, সে ‘দ্বাদশ’ ফিল্ডারকে নিয়ে বোলিং করতে হয়নি শেষমেশ সাকিবকে। সাপ সরানোর পরই শুরু হয় খেলা।
সাপের মাঠে ঢুকে পড়া অবশ্য নতুন কিছু নয়। এই গেল বছরও একই কারণে ম্যাচে ব্যাঘাত ঘটেছিল। গত অক্টোবরে ভারতের গুয়াহাটিতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নেমেছিল স্বাগতিক ভারত ও সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানেও ম্যাচ চলাকালে মাঠে ঢুকে পড়ে সাপ, তা সরানোর পরই খেলা শুরু হয় আবার।
মৌচাকে ঢিল!
আশপাশে নিশ্চয়ই মৌচাকে ঢিল পড়েছিল। না হয় ম্যাচে কেন ওভাবে মৌমাছির ঝাঁক চলে আসবে! এমন ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে। সেদিন চেস্টার লি স্ট্রিটের মতো ঘটনা ঘটেছিল ২০০৫ সালে ভারত-পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও; বিশাখাপত্তমে মহেন্দ্র সিং ধোনির আগমনী বার্তা জানানোর ম্যাচেও বলা নেই কওয়া নেই ম্যাচে চলে এসেছিল একঝাঁক মৌমাছি। বাংলাদেশও এমন ঘটনার মুখে পড়েছিল এক বার। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার হামবানটোটায় ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে ঢুকে পড়েছিল মৌমাছি।
তিন ম্যাচের দৃশ্যটাই এক, খেলোয়াড়দের সবাই তৎক্ষণাৎ শুয়ে পড়েছিলেন মাঠে। পরে পেস্ট কন্ট্রোল ডেকে মাঠে ধোঁয়া দিয়ে তবেই মিলেছিল নিস্তার। মাঝের সময়টা যে খেলা বন্ধ ছিল, তা কি আর বলে দিতে হয়?
মাস-সেরা কুকুর!
২২ মার্চ ২০২৩, সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া যখন মুখোমুখি, সে ম্যাচে মাঠে ঢুকে পড়েছিল কুকুর। নিরাপত্তারক্ষীদের গলদঘর্ম করে অনাহূত সে অতিথিকে বের করার পরই খেলা শুরু হয় আবার। তবে মাঠে কুকুর ঢুকে পড়ার ঘটনা অবশ্য হরহামেশাই হয়। যেমন হয় বিড়াল কিংবা সিগাল ঢুকে পড়ার ঘটনাও।
তবে সবচেয়ে অদ্ভুত ঘটনাটা ঘটেছিল ২০২১ সালে অল আয়ারল্যান্ড উইমেন্স টি-টোয়েন্টির সেমিফাইনালে। সেদিন মাঠে তো কুকুর ঢুকেছিলই, শুধু ঢুকেই ক্ষান্ত হয়নি। ম্যাচের বল নিয়েও দিয়েছিল ভোঁ দৌড়! সে কুকুরকে শেষমেশ আইসিসিও স্বীকৃতি দিয়েছে! দিয়েছে ‘মাস-সেরা কুকুর’ এর খেতাব!
ড্যাজল নামের কুকুরটি ছিল গ্যালারিতে, তবে মালিকের অসাবধানতায় মাঠে ঢোকার সুযোগ পেয়ে বসে সে পোষ্য। যার ফলটা তো দেখতেই পেলেন!