প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৩ ১৯:০৪ পিএম
গত মৌসুমে ব্যালন ডি’অর জয়ের পর রিয়াল ছাড়বেন করিম বেনজেমা, এমনটি হয়তো ভাবেননি কেউই। তবে সব ভাবনাই যে মিলে যাবে, এমন তো কথা নেই। কোথায় যাচ্ছেন তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কেমন পারফর্ম করছেন। সৌদি আরবের ক্লাব আল ইত্তিহাদে গিয়ে সেই কাজটিই শুরু করে দিয়েছেন বেনজেমা।
আরও পড়ুন : ফুটবলার মায়েদের গল্প
বৃহস্পতিবার রাতে আল ইত্তিহাদের জার্সি গায়ে জড়িয়ে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন বেনজেমা। ১৪ বছর আগে ২০০৯ সালে সৌদির এই ক্লাবটির বিপক্ষেই রিয়ালের হয়ে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন বেনজেমা। সেই ক্লাবটির হয়েই এবার সৌদির ফুটবলে রাজকীয় অভিষেক হয়ে গেল রিয়াল কিংবদন্তির।
অভিষেক ম্যাচ বলেই ম্যাচটি নিয়ে বাড়তি আগ্রহ ছিল দর্শকদের মধ্যে। নিরাশ করেননি ফরাসি তারকা। আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়নস কাপের গ্রুপ পর্বে তিউনিসিয়ার ক্লাব ইএস তিউনিসের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ী গোলটি আসে তার পা থেকে।
দলে বেনজেমার অন্তর্ভুক্তি যেন বদলে দিয়েছে আল ইত্তিহাদকে। ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে মুনশিয়ানা দেখিয়েছে ইত্তিহাদ। তবে স্রোতের বিপরীতে ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথম গোলটি হজম করতে হয়েছে ইত্তিহাদকেই। এরপর ৩৫ মিনিটে আব্দুর রাজ্জাক হামদাল্লাহর গোলে ম্যাচে সমতা টেনে বিরতিতে যায় বেনজেমার আল ইত্তিহাদ।
বিরতির পর মাঠে ফিরে সমর্থকদের খুব একটা অপেক্ষা করাননি সাবেক রিয়াল তারকা। প্রথম দিন মাঠে নেমেই দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন ৩৫ বছর বয়সি এই ফুটবলার। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে চোখধাঁধানো শটে বাঁ প্রান্ত থেকে বক্সের কোনার সামনে থেকে বাঁকানো শটে জালে জড়ান বল।
এ সময় তিউনিসের দুই ডিফেন্ডার দুই পাশ থেকে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি। এমন পরিস্থিতি অবশ্য বেনজেমার জন্য নতুন কিছু নয়। ইতঃপূর্বেও রিয়ালের জার্সিতে বহুবার দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বাঁকানো শটে বল জালে জড়িয়েছেন তিনি।
সৌদির ফুটবলে প্রথম দিনেই ভক্তদের সেই স্বাদ দিলেন বেনজেমা। এতেই উদযাপনের উপলক্ষ্য পেয়ে যান আল ইত্তিহাদ সমর্থকরা। এরপর সেই গোল আর শোধ দিতে পারেনি তিউনিস। ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ইত্তিহাদও। ফলে ২-১ গোলে জয় নিশ্চিত হয় ইত্তিহাদের।
অভিষেক ম্যাচে গোল করার আনন্দ ছুঁয়ে গেছে বেনজেমাকেও। ম্যাচ জয়ের পর সেই ছবি পোস্ট করা টুইটে বেনজেমা লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’। অর্থাৎ নিজের অভিষেক ম্যাচের পরফরম্যান্স নিয়ে বেশ খুশি তিনি। এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে নিশ্চয় কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি।
কেননা, বড় স্বপ্ন নিয়েই তাকে দলে ভিড়িয়েছে সৌদির ক্লাবটি। তার পেছনে মৌসুম প্রতি ক্লাবটি খরচ করবে প্রায় ৮ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড। ক্লাবটিতে তিন বছর থাকার কথা তার। সেই যাত্রাটা শুরু হলো রাজকীয়ভাবেই। এখন এটি ধরে রাখা গেলেই হয়।