প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৩ ১৭:৪৭ পিএম
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৩ ১৭:৪৭ পিএম
এখন সৌদিতে ফুটবল খেলছেন রোনালদো, আল নাসরের সঙ্গে করেছেন চোখ ধাঁধানো চুক্তি
ক্রীড়াবিদের ক্রীড়াঙ্গনের বাইরে ব্যবসায় জড়ানো নতুন কিছু নয়। পেশাদার ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার আগেই ব্যবসায় নামেন অনেকে। সেক্ষেত্রে তারকা ক্রীড়াবিদের নামটিই হয়ে ওঠে একটি ব্র্যান্ড। আর নামটি যদি হয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, তবে তো কথাই নেই। মাঠের ফুটবলে খ্যাতি-যশ অর্জন করা রোনালদোর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বেশ কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নাম। যেখান থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ জমা হয় তার অ্যাকাউন্টে। ফোর্বস সাময়িকীর জরিপে টানা দুই বছর সবচেয়ে সম্পদশালী ক্রীড়াবিদ হয়েছিলেন পর্তুগিজ এই তারকা। সেখানে এখন কিছুটা ভাটা পড়লেও সম্পদের পরিমাণ কমেনি তার। এখনও রোনালদো টক্কর দিতে পারেন যে কাউকে।
২০২২ সালে ফোর্বস সাময়িকীর হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী ক্রীড়াবিদদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে জায়গা হয় রোনালদোর। এ তালিকায় তার ওপরে রয়েছে এনবিএ কিংবদন্তি লেব্রন জেমস ও ফুটবল মাঠে তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। ওই হিসেবে রোনালদোর বার্ষিক আয় প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার। যদিও আগের বছরের তুলনায় তার আয় কিছুটা কমেছে। তবে সেটা প্রায় পুষিয়েই দিয়েছে আল নাসরের সঙ্গে রোনালদোর রেকর্ড ২১৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি। এ ছাড়া স্পন্সরশিপ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পান রোনালদো। এর মধ্যে ২০১৬ সালে নাইকির সঙ্গে চুক্তিতে যান সিআর সেভেন। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার। নাইকির বাইরে রোনালদো আরমানি, ট্যাগ হিউয়ার, মিসরীয় স্টিল, হারবালাইফ, ইতালিয়া ইন্ডিপেনডেন্ট, ক্লিয়ার, পোকারস্টারস এবং ক্যাস্ট্রোলের সঙ্গে স্পন্সরশিপ চুক্তিতে রয়েছেন রোনালদো। যেখান থেকেও বেশ মোটা অঙ্কের টাকা গোনেন তিনি।
আরও পড়ুন:
এসব তো গেল স্পন্সরশিপ ও ফুটবল থেকে তার আয়ের হিসাব। এর বাইরেও নিজস্ব ব্যবসা আছে রোনালদোর। ‘সিআর সেভেন’ নামে একটি আন্ডারওয়্যার ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। যা ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর বাইরেও বিভিন্ন পোশাক, বাড়ির পণ্যসামগ্রী নিয়ে কাজ করছে তার প্রতিষ্ঠিত সিআর সেভেন ব্র্যান্ড। এ ছাড়া পেস্তানা সিআর সেভেন নামে হোটেল ব্যবসায় অর্থ ঢালছেন রোনালদো। ইতোমধ্যে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন, মাদেইরা দ্বীপে তার নিজ শহর ফুঞ্চালে, নিউইয়র্ক এবং মাদ্রিদেও রোনালদোর পেস্তানা সিআর সেভেন হোটেল রয়েছে। কাজ চলছে প্যারিসে হোটেল নির্মাণে। পাশাপাশি মাদ্রিদে ‘সিআর সেভেন ফিটনেস’ নামেও একটি জিম চালু আছে রোনালদোর। যা চালু করা হয়েছে মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা ক্রাঞ্চের অংশীদারিত্বে। এসবের পাশাপাশি ২০১৯ সালে স্পেনে ইনস্পারিয়া নামে একটি হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট ক্লিনিক চালু করেন তিনি। এসব ব্যবসা থেকে বছরে প্রচুর অর্থ আয় করে থাকেন রোনালদো। এখন প্রশ্ন হলো এত টাকা কোথায় খরচ করেন তিনি?
২০২৩ সালের জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোনালদোর ফলোয়ার সংখ্যা ৭০২ মিলিয়ন। বর্তমানে সেই সংখ্যাটা বেড়েছে আরও। ইনস্টাগ্রামে, রোনালদোর ফলোয়ার সংখ্যা ৫৩৫ মিলিয়ন, যা ইনস্টাগ্রামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এখানে প্রতিটি ছবি শেয়ার করেও বেশ মোটা অঙ্কের টাকা আয় করেন রোনালদো
মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয়ের পাশাপাশি রোনালদোর ব্যয়ের হাতটাও বেশ প্রসার। বিলাসবহুল ব্যক্তি জীবন কাটানোর পর আয়ের একটা বাড়তি অংশ তিনি খরচ করেন সামাজিক সহায়তামূলক কাজে। মাঠের বাইরে রোনালদোর মহানুভবতাও বেশ প্রশংসার দাবিদার। ১০ বছর বয়সি এক ভক্তের মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচারের জন্য ৮৩ হাজার ডলার খরচ করেছেন তিনি। এ ছাড়া একটি ক্যানসার কেন্দ্রে ১ লাখ ৬৫ হাজার ডলার দান করেছেন। ২০১৬ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের পর তার সাবেক এজেন্ট জর্জ মেন্ডেসকে ৬ লাখ ডলার অর্থ দিয়েছেন একটি বেসরকারি দাতব্য সংস্থাকে দান করতে। এসবের বাইরে পর্তুগালের নিজ শহরে ব্যক্তি উদ্যোগে একটি পুরোনো ফুটবল মাঠ পুনরুদ্ধার ও সংস্কার করেছেন তিনি। যেখানে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন দেশটির তরুণ ফুটবলাররা। সেই সঙ্গে বৃত্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে তাদের জন্য।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকছে রোনালদোর অ্যাকাউন্টে। ২০২৩ সালের জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোনালদোর ফলোয়ার সংখ্যা ৭০২ মিলিয়ন। বর্তমানে সেই সংখ্যাটা বেড়েছে আরও। ইনস্টাগ্রামে, রোনালদোর ফলোয়ার সংখ্যা ৫৩৫ মিলিয়ন, যা ইনস্টাগ্রামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এখানে প্রতিটি ছবি শেয়ার করেও বেশ মোটা অঙ্কের টাকা আয় করেন রোনালদো। এসবের বাইরেও নানা কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে রোনালদোর নাম।
বর্তমান ক্লাবে রোনালদোর আয়
সময় আয়
প্রতি সেকেন্ড ৫৬ ইউরো
প্রতি মিনিট ৩, ৩৬৬ ইউরো
প্রতি ঘণ্টা ২০,২০০ ইউরো
প্রতি দিন ৪ লাখ ৮৫ হাজার ইউরো
প্রতি সপ্তাহ ৩.৪ মিলিয়ন ইউরো
প্রতি মাস ১৪.৭৫ মিলিয়ন ইউরো
প্রতি বছর ১৭৭ মিলিয়ন ইউরো