প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩ ১২:০৯ পিএম
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৩ ১২:১২ পিএম
'সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত’- বলছিলেন কার্লোস আলকারাজ। তা তো বটেই। এমন সুখস্মৃতি কি আর সবসময় মেলে? বয়স মাত্র ২০। তারুণ্যের উচ্ছলতায় উইম্বলডন শিরোপা জিতে নিয়েছেন এ স্প্যানিশ তারকা। ফাইনালে হারিয়েছেন নোভাক জোকোভিচের মতো সুপারস্টারকে। এর চেয়ে খুশির উপলক্ষ আর কিছু হতে পারে নাকি টেনিসের নাম্বার ওয়ানের!
আরও পড়ুন : টি-টোয়েন্টিতে ভয়ডরহীন খেলার ফল পাচ্ছে বাংলাদেশ
উইম্বডলনের সাতবারের চ্যাম্পিয়ন নোভাক জোকোভিচ। সেন্টার কোর্টে সেই সার্বিয়ান মেগাস্টারকে কিনা হতাশ করেছেন আলকারাজ ১-৬, ৭-৬ (৮-৬), ৬-১, ৩-৬ ও ৬-৪ গেমে। ঘুরে দাঁড়িয়ে স্পেনের এ তরুণ তুর্কি শুধু শিরোপাই জেতেননি। সঙ্গে পূরণ করে ফেলেছেন নিজের মনের কোণে লালিত এক স্বপ্ন। লন্ডনের ঘাসের কোর্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েই আলকারাজ জানান, নিজের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার গল্প, ‘নোভাককে হারানো, উইম্বলডন জয় এমন এক অর্জন, যে স্বপ্নটা আমি টেনিস খেলা শুরুর পর থেকেই দেখে আসছিলাম। আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। আমার মনে হয়, এই সুখানুভূতির স্থায়িত্ব দীর্ঘ হবে।’
শীর্ষ বাছাই আলকারাজ এই প্রথম বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাকর গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জয়ের স্বাদ নিলেন। তবে এটি তার ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম নয়। ক্যারিয়ারের প্রথম মেজর ট্রফি জেতেন তিনি গত বছর ইউএস ওপেনে। চ্যাম্পিয়ন হলে জোকোভিচ পেতেন ক্যারিয়ারের ২৪তম মেজর ট্রফির দেখা। সার্বিয়ান তারকা ছুঁয়ে ফেলতেন অস্ট্রেলিয়ার টেনিস কিংবদন্তি মার্গারেট কোর্টের সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড। জোকোভিচ সেরা হলে ভাগ বসাতেন সুইস লিজেন্ড রজার ফেদেরারের আট উইম্বলডন জয়ের কীর্তিতে। কিন্তু সেগুলোর কিছুই হলো না। ফলে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে জোকোভিচকে।
আলকারাজ কোর্টের বাইরে মুগ্ধতা ছড়ানো এক চরিত্র। সাক্ষাৎকারে যে কিনা হেসেই চলেন। কিন্তু কোর্টে র্যাকেট হাতে কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত- ভোলাভালা ছেলেটা খেলেন ভয়ানক খেলা। যেটা করে নিজেকে নিয়ে গেছেন বিশ্ব টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। যে কারণে টেনিস অনুরাগীরা দেখছেন আলকারাজের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ। জোকোভিচ, রাফায়েল নাদাল আর রজার ফেদেরার যুগের পরে তাকে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে দেখছেন ভক্তরা। তাকে পুরুষদের টেনিসের ভবিষ্যৎ কান্ডারি হিসেবেই মানছেন এখন অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে আসতে একটু দেরি করে ফেলেন আলকারাজ। বাকেট হ্যাট মাথায় নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এসেই ক্ষমা চেয়ে নেন অনুশোচনায় ভোগা এ চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়। এসেই বলে গেলেন নিজের স্বপ্নিল সময়ের কথা, ‘উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমার স্বপ্নটা সত্যি হয়েছে। এমন কিছু আমি সত্যি চেয়েছিলাম।’
ঘাসের কোর্ট আলকারাজের জন্য মোটেই পয়া ছিল না। চলতি বছরের আগে এই কোর্টে তার সাফল্য বলতে চারটি পেশাদার ম্যাচ জয়। কিন্তু বছর ঘুরতেই ঘাসের কোর্টই হয়ে গেছে আলকারাজের প্রিয়। কুইন্স ক্লাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবার সাফল্যের গল্প লিখলেন উইম্বলডনে। আলকারাজ বললেন সেই কথা, ‘আমি ঘাসের কোর্টের প্রেমে পড়ে গেছি। ঘাসের কোর্টে মাত্র চারটি টুর্নামেন্ট খেলেছি। কুইন্সে জিতেছি। আমি সত্যি প্রত্যাশাও করেনি এত সংক্ষিপ্ত সময়ে এই লেভেলের খেলা খেলতে পারব।’