প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৩ ১২:৩০ পিএম
টেস্টে দুই দলের পার্থক্যটা বিশাল, ওয়ানডেতে সেটা খুবই কম, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকলেও শক্তি-সামর্থ্যে আফগানিস্তানের পক্ষেই বাজির দরটা বেশি। তবে একটা জায়গায় এসে দুই দল আছে সাম্যাবস্থায়।
আরও পড়ুন : সেন্টার উইকেটে বড় শটের মহড়া
দুই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আর রশিদ খানের অবস্থানই দুই দলকে এনেছে এই অবস্থায়। দুজনই যে বর্তমানে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে আছেন শীর্ষে। একজন অলরাউন্ডারের র্যাঙ্কিংয়ে, অন্যজন বোলারদের। আজ দুই দল যখন মুখোমুখি হবে, তখন লড়াইটা হবে দুই অধিনায়কের, দুই বিশ্বসেরারও বৈকি!
দুই দলের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আর রশিদ। নিজ নিজ দলের অধিনায়কত্বের ব্যাটনটাও তাই তাদেরই হাতে। তবে এবারই অবশ্য প্রথমবারের মতো অধিনায়ক হিসেবে দুজনের সাক্ষাৎ নয়। ২০১৯ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজেও দুজনে মুখোমুখি হয়েছিলেন অধিনায়ক হিসেবে। ডাবল লিগ পদ্ধতির সেই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে রশিদ শেষ হাসি হাসলেও দ্বিতীয় লড়াইয়ে সাকিবই হেসেছিলেন বিজয়ীর হাসি। তাও আবার ম্যাচ জেতানো ৭০ রানের ইনিংস খেলে। আফগানদের বিপক্ষে সাকিবের ফিফটি ওই একটাই। সে সিরিজের ফাইনালে আরও একবার দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু বৃষ্টির কবলে ম্যাচটাই বাতিল হয়ে যায়, ট্রফি হয় ভাগাভাগি।
সে ম্যাচের মতো যেন সাম্যাবস্থায় সাকিব আর রশিদের লড়াইটাও। মুখোমুখি লড়াইয়ে সাকিব রশিদের শিকার বনেছেন একবার। ২০১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজের জেতা ম্যাচটা বাদ দিলে অবশ্য খুব বেশি আধিপত্যও বিস্তার করতে পারেননি। সব মিলিয়ে রশিদের বিপক্ষে সাকিবের গড় ২৩, স্ট্রাইক রেটটা ১৪০ ছুঁইছুঁই।
আইসিসির অলরাউন্ডারের র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে সাকিব আছেন শীর্ষে। গেল বছরের শেষদিকে শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছিলেন তিনি, চলতি বছর দারুণ সব পারফরম্যান্সে সেটা ধরে রেখেছেন সাকিব। ওদিকে রশিদ খানও বর্তমানে আছেন শীর্ষে, তবে সেটা বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে। চলতি বছরের শুরুতে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছিলেন তিনি। তবে এই দ্বৈরথে একটা জায়গায় সাকিব এগিয়ে আছেন। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের অবস্থান ২৪তম, ওদিকে অলরাউন্ডারের র্যাঙ্কিংয়ে রশিদ খানের নামই নেই!
সেটা অবশ্য কাগজে কলমের হিসাব। খেলাটা তো নির্ধারিত হবে মাঠের ক্রিকেট দিয়ে।
ব্যক্তিগত দ্বৈরথটা যেমন তেমন, অধিনায়কের দ্বৈরথটা যে জিততে চাইবেন দুজনেই।