প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৩ ২১:৪০ পিএম
ফুল লেন্থে করা বল ভেতরে ঢুকলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তামিম ইকবাল। তামিমের বিদায়কে বলা যায় বাংলাদেশের ইনিংসের পূর্ণাঙ্গ চিত্র। অধিনায়ককে অনুসরণ করে ব্যাটাররা একে একে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দেন। সেই পথে ছিল না তরুণ তাওহীদ হৃদয়ের নাম। উল্টো হয়ে ওঠেন লড়াকু সেনানী। দলের নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৬৯ বলে করেন ৫১ রান। তার ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশের ইনিংস শেষমেশ থামে ১৬৯ রানে। বৃষ্টি বাগড়া থাকায় আফগানদের সামনে লক্ষ্য ছিল ৪৩ ওভারে ১৬৪ রান।
আরও পড়ুন - তামিম বনাম ফারুকি, একটি অসম লড়াই!
আগে থেকেই ছিল বৃষ্টির
শঙ্কা। দুই দফায় বাংলাদেশ ইনিংসে হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি। দুই দফার বৃষ্টিতে খেলা
নামে ৪৩ ওভারে। এর আগে থেকেই অবশ্য উইকেট বৃষ্টি দেখছিল সাগরিকা। তামিমের পর
অভিজ্ঞ লিটন কিংবা ফর্মের তুঙ্গে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তরা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার
করতে পারেননি। উইকেটে থিতু হচ্ছিলেন। তবে রানটা আসছিল না। রান না করতে পারার
ব্যর্থতা তাদের ওপর বাড়ায় চাপ। সেই চাপের মুখে ভুলভাল শটে নিজেদের উইকেট বিলিয়েছেন
বাংলাদেশি ব্যাটাররা। সেই দলে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের মতো
ব্যাটাররাও।
সবাই যখন রান তুলতে তাড়াহুড়ো
করেন, তরুণ হৃদয়ের মাথা তখনও ঠান্ডা ছিল। বড় শটে ঝুঁকি বাড়াননি। বরং বারবার
প্রান্ত বদল করতেই ছিলেন মনোযোগী। তার ইনিংসে ছিল মাত্র ৩ চার। বাকি রান এসেছে
সিঙ্গেলে। ব্যাটিংয়ের পুরোটা সময় চাপে ছিলেন সেটা স্পষ্ট দলের অবস্থায়। হৃদয় যখন উইকেটে
আসেন তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল মাত্র ১০৯ রান।
তাওহিদ হৃদয়ের ৫১ ছাড়া আর
কেউ পার করতে পারেননি অর্ধশতক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে লিটন দাসের ব্যাটে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান এসেছিল অতিরিক্ত খাত থেকে। বাড়তি রানে চাপ বাড়ালেও আফগানরা
ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায়। যার প্রমাণ বাংলাদেশকে মাত্র ১৬৯ রানে আটকে দেওয়া। বাংলাদেশের
শেষ ছয় ব্যাটার নিজেদের রান পার করতে পারেননি এক অঙ্কের কোটা। ওপরের পাঁচ ব্যাটার
থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। তাতেই অল্প রানে আটকায় বাংলাদেশ।
ওপরে খেলা তামিম, লিটন,
মুশফিক ও সাকিবরা ঠিক নিজেদের খোলস ছেড়ে বের হতে পারেননি। উল্টো আফগান বোলারদের
ফাঁদে পড়ে খেলেন ভুল শট। এর কৃতিত্ব অবশ্য আফগানদের দিতেই হবে। ফজলহক ফারুকি, রশিদ
খান ও মুজিব উর রহমানদের তৈরি করা চাপই এর মূল কারণ।