× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঢাকায় এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ১১ ঘণ্টা

আবেগের সফর বাণিজ্যের মোড়কে দূষিত

আপন তারিক

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩ ১৫:৪৭ পিএম

আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৩ ১৫:৫০ পিএম

আবেগের সফর বাণিজ্যের মোড়কে দূষিত

আমস্টারডাম থেকে ঢাকার পথে ইস্তাম্বুলে যাত্রাবিরতি। তারপর প্রায় ৮ ঘণ্টার বিমানযাত্রা শেষে বাংলাদেশে নেমেই যেন ছটফট করছিলেন তিনি। মূলধারার গণমাধ্যম আর অন্তর্জালের কল্যাণে আগেই জেনে গিয়েছিলেন—বাংলাদেশ মানেই আরেক আর্জেন্টিনা; যারা আলবিসেলেস্তেদের জয়ে হাসে, পরাজয়ে অঝোরে কাঁদে! এখানে লিওনেল মেসিদের লাখো-কোটি ভক্ত! লাতিন এই দেশটির বিশ্বকাপ জয়ের পর উৎসবের রঙিন ছবি দেখে বাংলাদেশকে হদয়ের গহীন কোণে আলাদা জায়গা দিয়েছিলেন বলেই কলকাতা ট্যুরের আগেই ঢাকা মাতাতে চেয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেল ওয়েস্টিনে যেতে পথে গাড়িতে বসে একটা ছোট্ট ভিডিওতে দেখা মিলেছিল উচ্ছল মার্টিনেজকে। যেন ঢাকায় নেমে স্বপ্নপূরণ হয়েছে তার। যেন একটু পরই লাখো ভক্তের মুখোমুখি হবেন বলে আনন্দ ঠিকরে পড়ছিল তার চোখেমুখে। নিজেই বলছিলেন, আমি বাংলাদেশের বাজপাখি!

এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। তারপর যা হলো সেটাকে সহযোগী একটা দৈনিক ঠিকঠাক শিরোনামে রেখেছে—‘খাঁচাবন্দি বাজপাখি।’ আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপারের ১১ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরটা আসলে এমনই ছিল। ঢাকায় পা দিয়েই ছটফট করছিলেন দিবু, ভ্রমণক্লান্তি উড়িয়ে যিনি বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন ভক্তদের সঙ্গে একাত্ম হতে চেয়েছিলেন তাকে আয়োজকরা নিজেদের বলয়ে রেখে স্রেফ বাণিজ্যিক ও পারিবারিক একটা আয়োজন করে ফেললেন। মেসির সতীর্থের আগমনে যেখানে গোটা বাংলাদেশ আনন্দে ভাসতে পারত, মার্টিনেজ দেখে যেতে পারতেন তাকে কতটা ভালোবাসে বাংলাদেশ! কিন্তু সেই আনন্দ না পেল বাংলাদেশ, না মার্টিনেজ।

‘খাঁচাবন্দি বাজপাখি’—আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপারের ১১ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরটা আসলে এমনই ছিল। ঢাকায় পা দিয়েই ছটফট করছিলেন দিবু, ভ্রমণক্লান্তি উড়িয়ে যিনি বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন ভক্তদের সঙ্গে একাত্ম হতে চেয়েছিলেন তাকে আয়োজকরা নিজেদের বলয়ে রেখে স্রেফ বাণিজ্যিক ও পারিবারিক একটা আয়োজন করে ফেললেন।

আর্জেন্টাইন এই তারকার ঢাকা সফরটি হতে পারতে তার জীবনের অন‍্যতম স্মরণীয় এক ঘটনা। এই দেশের মানুষের আর্জেন্টাইনপ্রীতির গল্প যারা জানেন তাদের কাছে মার্টিনেজ একজন সুপার হিউম‍্যান। ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে তার বাঁ পায়ের সেই সেভই আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর এনে দিয়েছিল বিশ্বকাপ শিরোপা। তারপর থেকে বাজপাখি নামে পরিচিত এই গোলকিপার যেন বাংলাদেশেরই একজন। তিনিও আপন করে নিয়েছেন এই দেশের মানুষকে। তাই তো কলকাতার স্পোর্টস প্রমোটর শতদ্রু দত্ত যখন তার পশ্চিমবঙ্গ সফর নিশ্চিত করতে কথা বলেন তখন মার্টিনেজ নিজ থেকেই বাংলাদেশে আসার আগ্রহটা প্রকাশ করেন। তিনিই সেই প্রমোটরকে জিজ্ঞাস করেনÑ বাংলাদেশে যাওয়ার সুযোগ আছে?

প্রধানমন্ত্রীকে জার্সি উপহার দিয়েছিলেন মার্টিনেজ

সেই সুযোগটা শতদ্রু দত্ত করলেন বটে কিন্তু এই সফর বরং আক্ষেপই বাড়িয়েছে। অতিথিপরায়ণ জাতি অতিথির জন্য কিছুই করার সুযোগ পেল না! আবেগে ভেসে যাওয়া আর্জেন্টিনা দর্শকদের দরজা বন্ধই থাকল ক্ষমতাবলয়ের কিছু মানুষের জন্য। এটা তো এরই মধ্যে অনেকেরই জানা হয়ে গেছে ওই হাতেগোনা কিছু মানুষের ভিড় ঠেলে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া আর্জেন্টাইন মহাতারকার দেখা পাননি! অথচ শুভেচ্ছা সফরের নামে মার্টিনেজকে যারা নিয়ে এসেছিলেন ঢাকায় তারা এই ১১ ঘণ্টার প্রতিটি সেকেন্ড খুব সুন্দর করেই কাজে লাগাতে পারতেন। শুধু ইচ্ছে আর পরিকল্পনাটা থাকলেই হতো! 

বাংলাদেশ ফুটবল অধিনায়ক তার সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন—এটা জানলে হয়তো মার্টিনেজ এড়িয়ে যেতেন না। একইভাবে তাকে দিয়ে যদি ৩০-৩৫ মিনিটের একটা প্রীতি ম্যাচ যেকোনো মাঠে করা যেত সেটাতেও এই আর্জেন্টাইন বাগড়া দিতেন বলে মনে হয় না। কারণ তিনি তো এদেশের মানুষের ফুটবল আবেগ আর আর্জেন্টাইনপ্রীতিটাই দেখতে এসেছিলেন। গ্যালারিতে ফুটবলপ্রেমীরা থাকলে সেই ট্রিবিউটটা ভালো করেই দেওয়া যেত। শতদ্রু দত্ত অবশ্য বলছিলেন, স্পন্সর পাননি বলে এমন কিছু হয়নি। ডলার সংকটের দোহাইও চলছিল। কিন্তু বিস্ময়কর হলো ‘নেক্সট ভেঞ্চার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ঠিকই তাদের প্রচারণাটা করিয়ে নিল মার্টিনেজকে দিয়ে। আর তাতেই যে সফরটা ছিল মূলত আবেগের, সেটা হয়ে গেল বাণিজ্যিক সফর! এখানে ফুটবলপ্রেম ছিল না!

আরও পড়ুন: 

মার্টিনেজের ১১ ঘণ্টার এই ঢাকা সফরের পুরোটাতেই ছিল পরিকল্পনার অভাব। যেখানে বাংলাদেশের প্রাপ্তি বলে তেমন কিছুই ছিল না। এই সফরে মার্টিনেজ ও সফরসঙ্গীর ভ্রমণ এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানকেই বহন করতে হয়েছে। সেই আয়োজকরা মার্টিনেজকে ১১ ঘণ্টার প্রায় পুরোটা সময় নিজেদের করে রাখতেই ছিলেন ব্যস্ত। সফর শুরুর এক দিন আগেই অবশ্য এই সফরের আয়োজক হিসেবে নেক্সট ভেঞ্চার্স নামক কোম্পানি যা ফান্ডেড নেক্সটেরও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে। যাদের নাম এর আগে তেমনটা শোনা যায়নি। প্রমোটর শতদ্রু, যাকে নিয়ে কলকাতায় প্রশংসার পাশাপাশি নানা বিতর্ক চাউর আছে; তিনি এমন একটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঢাকা সফরের চুক্তিটা করলেন, তাতে তাদের অদক্ষতা ফুটে উঠল। মার্টিনেজের এই সফরে সব কিছুর ব্যবস্থাপনা ও কর্তৃত্বও ছিল প্রতিষ্ঠানটির। তারা সেটা ঠিকঠাক মতো করতে পারেনি বলেই বিতর্ক ছড়িয়েছে।

বাজপাখির সঙ্গে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতীক নৌকাও দেওয়া হয় মার্টিনেজকে

সোমাবার ভোরে ঢাকা বিমানবন্দরে মার্টিনেজ নামতেই তাকে অনেকটা লুকিয়ে ফেলে ওই প্রতিষ্ঠানটি। গণমাধ্যমের সঙ্গে লুকোচুরি করে সরাসরি হোটেল ওয়েস্টিনে নিয়ে যান আয়োজকরা। সেখানে ঘণ্টা তিনেক বিশ্রাম। তারপর নেক্সট ভেঞ্চার্স অফিসে হাজির করা হয় মার্টিনেজ। রাজধানীর বাড্ডায় নেক্সট ভেঞ্চার্স অফিসের সামনে গণমাধ্যমের ভিড় থাকলেও মার্টিনেজ দর্শনে ছিল কড়াকড়ি। কালো কাচের গাড়িতে লুকিয়ে তাকে নিয়ে আসা হয়। এমনকি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য ছবি দেওয়া কিংবা মিনিট খানেকের ফুটেজ দেওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়নি। মার্টিনেজকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দুটো কথা বলা কিংবা সামান্য হাত নাড়ার দৃশ্যটাও মঞ্চস্থ হতে দেননি সেই আয়োজকরা। 

পত্রিকার কাগজে ঝকঝকে লেখায় প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন

অবশ্য জামাল ভূঁইয়া ফুটবলের মানুষ হয়ে মার্টিনেজের দেখা না পেলেও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা পেয়ে যান এই আর্জেন্টাইনকে। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বাড্ডার সেই অফিসে থেকে মার্টিনেজ ও মাশরাফিকে একসঙ্গেই বেরিয়ে যেতে দেখা যায়, তখনও ঢাকার গণমাধ্যমে একটু সময়ের জন্য ধরা পড়েননি কাতার বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকা!

যদিও এরপরই আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সেই অফিস থেকে বেরিয়ে মার্টিনেজের ঢাকা সফরের কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন। তিনিই জানালেন—আয়োজক প্রতিষ্ঠানটির কর্তাদের আমন্ত্রণেই গিয়েছিলেন সেখানে। যেমনটা হয়েছে মাশরাফির বেলাতেও। অথচ এই ব্যাপারটাই আরও ভালো করে করতে পারতেন আয়োজকরা। সেখানে নারী দলের ফুটবলারদের রাখা যেত। রাখা যেত বাংলাদেশ পুরুষ দলের সাবেক-বর্তমানের অনেককেই। এমন অতিথিদের আমন্ত্রণ জানাতে নিশ্চয়ই বাড়তি খরচের প্রয়োজন হয় না!

বিস্ময়কর এটাই—মার্টিনেজের মতো একজন মহাতারকা যিনি গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীর কাছে পরিচিত তার অনুষ্ঠানে মন্ত্রী-এমপিরা থাকলেও নেই বর্তমান কিংবা সাবেক কোনো ফুটবলার! এ নিয়ে সমালোচনায় মুখর এখন ফুটবলপ্রেমীরা। কোরবানির ঈদের পর যখন মার্টিনেজের আগমনে আরেক আনন্দের অপেক্ষায় ছিলেন অনেকে সেখানে কি না এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা!

অপেক্ষা করেও মার্টিনেজের সাক্ষাৎ পাননি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া

তারচেয়ে বিস্ময়কর হলো বিমানবন্দরে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অবজ্ঞার ব্যাপারটি। তিনি মার্টিনেজের সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় ছিলেন। বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক অপেক্ষারত এই বার্তা মার্টিনেজের সঙ্গে থাকা অনেককেই দেওয়া হয়েছিল। খোদ প্রতিদিনের বাংলাদেশের আলোকচিত্রী খবরটা দিয়েছিলেন কলকাতার শতদ্রু দত্তকে। কিন্তু তিনি এড়িয়ে গেছেন। এই সৌজন্যতাটুকু দেখালে কী এমন হয়ে যেত—এই প্রশ্ন অন্তর্জালে তুলছেন অনেকেই।

সঙ্গে এই আক্ষেপটা তো থাকছেই—আয়োজকদের অব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের মানুষ ভালোবাসা প্রদর্শনের সুযোগই পেল না! অথচ এই সফরটা যে হতে যাচ্ছে সেটা মাসখানেক আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। ডলার সংকটের কারণ দেখিয়ে সফর নিয়ে লুকোছাপা করছিলেন কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত। ঢাকায় কাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে এ নিয়েও মুখ খোলেননি তিনি। শুরুতে মার্টিনেজকে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ কামিয়ে নেওয়া একটা ইচ্ছে ছিল এই ভারতীয় প্রমোটরের। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে তার সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এরপর মার্টিনেজের সফরটি ‘গুডউইল ট্যুর’ হিসেবে দেখিয়ে কিছু একটা করার পরিকল্পনা ছিল তার।

মাশরাফি কন্যার সেলফিতে মার্টিনেজ, সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন মাশরাফিও ছবি : ফেসবুক

সেই পরিকল্পনাটিও ঠিকঠাক করেননি তিনি ও তার এদেশীয় আয়োজকরা। মার্টিনেজের ঢাকা সফরের শুরু থেকে শেষ অবধি কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত ছিলেন আশপাশে। মার্টিনেজকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা আর গণমাধ্যমের সামনে না আনার পেছনে তার ভূমিকাই বেশি বলে মনে করেন অনেকে। এই তিনি কলকাতা আর প্যারিসে বসে এদেশের গণমাধ্যমকর্মীদের আপডেট দিয়েছেন, তিনিই সোমবার কল ধরেননি, না চেনার ভান করে ঢাকা ছেড়েছেন। একটি সূত্র জানাচ্ছে—নেক্সট ভেঞ্চার্সও শেষ অবধি শতদ্রুর পরামর্শে ঢাকা সফরের সময় আড়ালে রেখেছে মার্টিনেজকে। সব আনন্দে জল ঢেলেছেন তিনিই!

মার্টিনেজের এই সফরে প্রাপ্তি বলতে ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের ফ্রেমবন্দির মুহূর্তটিই। এ ছাড়া পুরোটাতে অপ্রাপ্তি, অব্যবস্থাপনা আর আক্ষেপের সারাংশ। আর্জেন্টাইন লাখো-কোটি ভক্ত মার্টিনেজের এই সফরটা ভুলে যেতেই চাইবেন। এমি চেয়েছিলেন বাংলাদেশি ভক্তদের আবেগকে শ্রদ্ধা জানাতে কিন্তু আয়োজকদের কাণ্ডে এটি স্রেফ বাণিজ্যিক একটা সফর হয়ে উঠল। নিজ ইচ্ছায় কোনো অর্থ না নিয়ে শুধু বাংলাদেশকে ভালোবেসে যেভাবে মার্টিনেজ এসেছিলেন, তাকে অন্তত একটু বেশি সম্মান ও ভালোবাসা দেওয়া যেত। সফরটা হয়ে উঠতে পারত গোটা বাংলাদেশের। 

কিন্তু রঙহীন বাংলাদেশকেই দেখে ফিরলেন মেসির ভালোবাসার দিবু। কাচের ঘরে বন্দি বাজপাখি যে ঢাকায় উড়তেই পারলেন না!

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা