প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৩ ১১:০৯ এএম
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৩ ১১:৫৭ এএম
গোলবারের নিচে একা দাঁড়িয়ে গোলরক্ষক। শট নিতে আসছেন প্রতিপক্ষ দলের সবচেয়ে সেরা ফুটবলার। যিনি বিশেষভাবে দক্ষ এই শটটি নিতে। সবচেয়ে সহজতম কাজের একটিই হওয়ার কথা তার জন্য। কিন্তু না, কখনও কখনও সেই পেনাল্টিই হয়ে ওঠে আতঙ্কের। শট নিতে আসা প্রতিপক্ষের ফুটবলারের চোখে চোখ রেখে কিছু একটা বলে কিংবা সময় নষ্ট করে তাকে গোলকধাঁধার মধ্যে ফেলে দেন গোলরক্ষক। ঘটে মনঃসংযোগে ব্যাঘাত। লক্ষ্যে থাকে না বল। এই ব্যাপারটি পারদর্শিতার সঙ্গেই করে থাকেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সেটি করেই তিন যুগ পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন, কোপা আমেরিকা জেতার পেছনেও তার অবদান অসীম। তবে এ জন্য কম বিতর্কও সইতে হয়নি মার্টিনেজকে।
মাঠে সময় নষ্ট করায় তার বিকল্প নেই। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মোমেন্টাম নষ্ট করতেও পারদর্শী তিনি, যা দলের জয়ে ভূমিকা রাখে। তবে এর জন্য প্রায়শই হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাকে, যা নিয়ে হতে হয় সমালোচিতও। চলতি মৌসুমে এরই মধ্যে চারটি হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে তাকে। বিশেষ এই কাজটিকে বলা হয় ‘ডার্ক আর্ট’। আর এটি নিয়েই একটি তালিকা করা হয়েছে। যাতে ওপরের দিকেই নাম মার্টিনেজের। তার মতো সময় নষ্ট করায় পারদর্শী বেন ফস্টার ও জর্ডান পিকফোর্ড। এ ছাড়া সময় নষ্ট করার তালিকায় আছে গোলরক্ষক ভিসেন্তে গুয়াতিয়া, নিক পোপ, এদেরসন, অ্যালেক্স ম্যাকার্থি ও আর্থুর ব্রুসের নাম।
আরও পড়ুন:
গত মৌসুমে প্রফেশনাল গেম ম্যাচ অফিসিয়াল লিমিটেড (পিজিএমওএল) রেফারিদের ম্যাচ আবার চালু করার ক্ষেত্রে তৎপর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। এর কারণ ছিল সময়কে পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করা। যদিও সেটি পুরোপুরি সম্ভব হচ্ছে না। কেননা, এখন পর্যন্ত এ মৌসুমে সময় নষ্ট করার জন্য ৪৩ জন হলুদ কার্ড দেখেছেন। গত মৌসুমে এই সংখ্যাটা ছিল ৭০। বিশ্বকাপ ফাইনালে মার্টিনেজকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসেছে ফিফাও, আনছে পেনাল্টি নিয়মের বেশকিছু পরিবর্তন।