প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৩ ১৬:৫২ পিএম
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৩ ২০:৫৩ পিএম
রশিদ খানহীন দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাওয়ায় খেলা গড়ায় সবুজ উইকেটে। বাউন্স, সুইং কিংবা টার্ন- কোনোটারই কমতি ছিল না মিরপুরের সবুজ গালিচায়। দিনকে দিন উন্নতি হচ্ছে বাংলাদেশের পেস ইউনিটে।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ওয়ানডে দলে রশিদ-মুজিব
উইকেটের আচরণ পক্ষে থাকলে আমরাও পারব- এমন আভাস তো বহুবার দিয়েছিল। আফগানদের বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে অপেক্ষা নয়, প্রমাণ করেছেন। এমন দারুণ বোলিংয়ে প্রশংসা এসেছে প্রতিপক্ষ শিবির থেকেও। আফগান কোচ জোনাথন ট্রট স্পষ্টই বলেন, তোমাদের পেসাররা দেশের বাইরেও ভালো করবে।
দুই ইনিংসে ১৪ উইকেট নেন বাংলাদেশি পেসাররা। দেশের মাঠে পেসারদের এই দাপটের কথা কে, কবে, কোথায় কল্পনা করেছিল? স্পিনস্বর্গ রীতিমতো পেস-সহায়ক হবে সেটাই ভাবার সাহস কার ছিল? না, কেউ হয়তো কখনও কল্পনা করেনি। কিন্তু আফগানদের বিপক্ষে ওটাই হয়েছে। দারুণ এই পেস আক্রমণের প্রশংসা তাই আফগান শিবিরেও। কোচ জোনাথন ট্রট বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা দারুণ। এ ধরনের পেসাররা দেশ ও দেশের বাইরে ভালো করতে পারবে।’ শুধু পেস নয়, স্পিনারদের প্রশংসাও আছে- ‘তারা দারুণ স্পিনার। তারা জানে কীভাবে ভালো বল করতে হয়। পুরো কৃতিত্ব তাদের।’
২৭ মাস বিরতির পর আফগানদের সাদা পোশাকের প্রত্যাবর্তনটা হতাশাজনক। বাংলাদেশের কাছে ৫৪৬ রানের রেকর্ড হার সঙ্গী হয়। বড় হার হতাশাজনক সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ট্রট বলেন, ‘অবশ্যই হতাশাজনক। আমরা যেভাবে চেয়েছি, সেভাবে খেলতে পারিনি।’ কেন ভালো করতে পারিনি, সেই ব্যাখ্যায় বলেন- ‘২৭ মাস পর টেস্ট খেলতে এসেছি। এতদিন তারা শুধু দেশে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছে। প্রত্যাশামাফিক সাফল্যের জন্য আরও বেশি প্রস্তুতির দরকার। সেই সুযোগ হয়নি আমাদের।’ অভিজ্ঞতার অভাবকে বড় করে দেখলেও ট্রট মনে করেন, জয়ের কৃতিত্ব বাংলাদেশি বোলারদের। ‘আমাদের ব্যাটাররা খারাপ করেনি। বাংলাদেশি বোলাররা বেশি ভালো বোলিং করেছে। বাংলাদেশ বেশি ভালো খেলেছে।’- যোগ করেন ট্রট।