জোকোভিচ এখন নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী

রাত পোহালেই নামতে হবে রোলা গারোঁয়। লড়তে হবে ২৪ বছরের টগবগে এক তরুণের বিপক্ষে। হারলে শুনতে হবে তিক্ত সমালোচনা, জিতলে গ্র্যান্ড স্ল্যামের সংখ্যায় ছাড়িয়ে যাওয়া যাবে সবাইকে। হওয়া যাবে ইতিহাসের অংশ। সেসব নিয়ে কোনো ভাবান্তর নেই নোভাক জোকোভিচের।

আরও পড়ুন : ম্যানসিটি জিতলেও বাজিতে হেরেছেন আগুয়েরো

আয়োজন করে টেলিভিশনের সামনে বসে পড়লেন ৩৬ বছর বয়সি সার্বিয়ান তারকা। দেখলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের পুরো অংশ। ধৃষ্টতা নয়তো একে কী বলবেন আপনি। ফাইনালের চাপ উপেক্ষা করে এই ধৃষ্টতা যিনি দেখাতে পারেন বিজয়ের হাসি তো শোভা পায় তার মুখেই। রবিবার ফ্রেঞ্চ ওপেনে নরওয়ের তারকা ক্যাসপার রুডকে ৭-৬ (৭-১), ৬-৩, ৭-৫ গেমে হারিয়ে রেকর্ড ২৩তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম উঁচিয়ে ধরেছেন জোকো।

এদিন তৃতীয়বারের মতো ফরাসি ওপেন জিতেছেন জোকো। এর আগে ২০১৬ ও ২০২১ সালে ফরাসি ওপেন জিতেছিলেন। এ ছাড়া বাকি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মধ্যে তিনটি এসেছে ইউএস ওপেন থেকে। সাতটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন উইম্বলডনে। বাকি ১০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম এসেছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে। দারুণ এই কীর্তি গড়ে জোকোভিচ বলেন, ‘আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে আমার জীবনে ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছি। এটা অবিশ্বাস্য। সাত বছর বয়সে স্বপ্ন দেখছিলাম, একদিন আমি উইম্বলডন জিতব এবং বিশ্বের এক নম্বর হব। এখানে দাঁড়িয়ে আমি কৃতজ্ঞ এবং ধন্য।’

এরপর অবসর ইস্যুতে জোকোভিচ বলেন, ‘যাত্রা এখনও শেষ হয়নি। আমি যদি স্ল্যাম জিততে পারি তাহলে কেন এখনই আমাকে অবসর নিয়ে ভাবতে হবে। আমার ক্যারিয়ার ইতোমধ্যেই ২০ বছর ধরে চলছে। আমি এখনও এই টুর্নামেন্টে সেরা টেনিস খেলতে অনুপ্রাণিত বোধ করি। আমাদের খেলার ইতিহাসে আমি সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম উঁচিয়ে ধরেছি। আমার নিজের ভাগ্য তৈরি করার ক্ষমতা আমার ছিল।’

তরুণদের জন্য বার্তা দিয়ে জোকোভিচ বলেন, ‘আমি প্রত্যেক তরুণকে বলতে চাই, যদি তুমি ভালো ভবিষ্যৎ চাও, তাহলে নিজেই এটি তৈরি করতে পার। আমি নিজেকে ভালো করে জানি এবং আমি জানি যে এই ট্রফিগুলোর একটি জিততে কী লাগে, তাই আমি আশা করি অন্যরা তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে এটি অর্জনের চেষ্টা করবে। এই মিশনে মনোনিবেশ করার আগে তাদের জানা উচিত- এটি সহজ নয়। যদি এটা সহজ হত, সবাই এটা করত।’

ফাইনালে তার প্রতিদ্বন্দ্বী রুড সবশেষ পাঁচটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মধ্যে তিনটিতেই ফাইনালে খেলেছেন। তবে এখন পর্যন্ত একটি গ্র্যান্ড স্ল্যামও উঁচিয়ে ধরতে পারেননি তিনি। ফাইনালের চাপ কীভাবে সামাল দেন জোকোভিচ; সেসব নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল অনুশীলন এড়িয়ে গেছি। গত কিছুদিন ধরে টানা খেলায় ক্লান্ত ছিলাম। সেমিফাইনাল ম্যাচের পর অগ্রাধিকার কীÑ সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি, একমত হয়েছি নিজেকে রিসার্চ করার ব্যাপারে। যতটা সম্ভব বিশ্রাম, চিকিত্সা এবং কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম করে পেশিগুলো ঠিক রেখেছি। আমি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালও দেখেছি। আমার ভালো ঘুম হয়েছে। ভালোভাবে বিশ্রাম নেওয়াটাও আমার রুটিনের অংশ।'