প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩ ২৩:৫৫ পিএম
আপডেট : ৩১ মে ২০২৩ ০১:৩১ এএম
মোহামেডান তখন ২-০ গোলে পিছিয়ে। তখন ধারাভাষ্যকার বলছিলেন, ‘মোহামেডানকে যদি কেউ ম্যাচে ফেরাতে পারেন, সেটা এই সুলেমান দিয়াবাতেই’। কেন বলছিলেন, সে জবাবটা দিয়াবাতে পরের ৭৫ মিনিটে দিয়েছেন ভালোভাবেই। এক, দুই, তিন… করে গোল করেছেন চারটা। মোহামেডানের মহাকাব্যিক জয়ের নায়ক যে তিনি, তা আর বলতে হয়।
আরও পড়ুন : রানের খাতাই খোলেননি ১৬ জন
তবে মহাকাব্যিক জয়ে যে স্রেফ নায়ক থাকলেই হয় না, মহানায়কও যে লাগে! সেই মহানায়কও পেয়েছে মোহামেডান। সেটা আর কেউ নন, আহসান হাবিব বিপু। ম্যাচটা যিনি শুরুই করেননি, নেমেছিলেন বদলি খেলোয়াড় হিসেবে!
বিপুর মঞ্চটা গড়ে দিয়েছিলেন দিয়াবাতে। ফাইনালের মতো মঞ্চে স্নায়ুর পরীক্ষায় উতরে গেছেন তিনি ৪ গোল করে। এতটাই যে, তিনি আদায় করে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের প্রশংসাও। কোচ মারিও লেমোস তো বলেই দিলেন, দিয়াবাতেই বাংলাদেশের সেরা স্ট্রাইকার।
ম্যাচের আগেও দিয়াবাতেকে নিয়ে ভয়ের কথা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানিয়েছিলেন লেমোস। ম্যাচে তার ভয়টাই সত্যি হলো। তাই দিয়াবাতেকে নিয়ে একরাশ প্রশংসাই ঝরে পড়ল তার কণ্ঠে, ‘বাংলাদেশে দিয়াবাতে সেরা একজন স্ট্রাইকার। সে আজ তার সেরাটা দিয়েছে। সে কেমন খেলোয়াড়, সেটা সবাইকে নিজের সক্ষমতা দেখিয়েছে।’
সেই দিয়াবাতে পুরো টুর্নামেন্টে করেছেন ৮ গোল। তাতে সেরা গোলদাতার সঙ্গে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটাও উঠেছে তারই হাতে।
তবে দিয়াবাতের এমন নৈপুণ্য ফিকে হয়ে যেত, যদি না শেষে আহসান হাবিব বিপু দেয়াল তুলে দাঁড়াতেন ওভাবে। কোচ আলফাজ জানালেন, খেলাটা যদি টাইব্রেকারে গড়ায়, তাহলে পরিকল্পনাই ছিল তাকে বদলি হিসেবে নামানোর। তবে নিয়মিত গোলরক্ষক মোহাম্মদ সুজনের চোটে একটু আগেই আনতে হয় তাকে। আলফাজ জানান, ‘গোলরক্ষক চোট পাওয়াতে পরিবর্তন করতে হয়েছিল। একটু টেনশন হচ্ছিল। তবে আমাদের পরিকল্পনাই ছিল বিপু টাইব্রেকারে কিপিং করবে।’
কেন টাইব্রেকারের জন্য তুলে রাখা হয়েছিল তাকে, সেটা বিপু বুঝিয়েছেন দারুণভাবে। রাফায়েল আগুস্তোর পর বিশ্বকাপ খেলা দানিয়েল কলিন্দ্রেসকেও দিয়েছেন ঠেকিয়ে। তাতেই না মোহামেডানের অমন জয়োৎসব! বিজিত আবাহনী কোচ লেমোস তাই দিলখোলা প্রশংসাই করলেন তার। বললেন, ‘টাইব্রেকারে দুটি শট মিস হবে এটা আমাদের প্রত্যাশার বাইরে ছিল। তবে এখানে গোলরক্ষককে কৃতিত্ব দিতে হয়। সে দারুণ সেভ করেছেন।’