প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩ ১১:৪৭ এএম
একসময় বাংলাদেশের ফুটবল উন্মাদনার কেন্দ্রে ছিল আবাহনী আর মোহামেডান। দুই দলের লড়াই মানে ছিল রীতিমতো এক উৎসব। তবে সময়ের পরিক্রমায় সে উৎসবে ভাটা পড়েছে। দুই দল- বিশেষ করে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পারফরম্যান্সও মাঝে পড়ে গিয়েছিল বেশ। সে কারণে দুই দলের লড়াইও অনেকটা রঙ হারিয়েছিল।
আরও পড়ুন : মরিয়া মোহামেডান, সতর্ক আবাহনী
তবে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় ভাগে মোহামেডান দৃশ্যপটে ফিরে এসেছে দারুণভাবে। প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় স্থানে শেষ করার লড়াইয়ে আছে দলটা। আছে আজকের ফেডারেশন কাপের ফাইনালেও, যেখানে তাদের লড়াইটা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে।
আজকের এই ফাইনালের আগে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে দুই দলের দেখা হয়েছিল ২০০৯ সালে। ১৪ বছর পর দুই দলের এই ফাইনাল নিয়ে দুই সমর্থক গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ প্রাণ সঞ্চার হয়েছে।
আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠী যেমন, ঢাকা থেকে চারটি বাস ও ট্রাক নিয়ে যাচ্ছে ভেন্যু কুমিল্লায়। এখানেই শেষ নয়, কুমিল্লার সমর্থক গোষ্ঠীর সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকেও দল বেঁধে আসছে দলটির সমর্থকরা।
দীর্ঘদিন পর ফাইনালে আবাহনীর সামনে মোহামেডান, তাই সমর্থকদের এমন বাড়তি আয়োজন। আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠীর সিনিয়র সহসভাপতি এনাম ই খোদা জুলু বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর কোনো কাপ ফাইনালে আবাহনী মোহামেডান খেলছে, তাই আমাদের এমন আয়োজন। একটা সময় বাংলাদেশের ফুটবল মানেই ছিল আবাহনী-মোহামেডান উন্মাদনা। মাঝে মোহামেডান খানিকটা পিছিয়ে পড়েছিল। তবে এখন আবার ফিরে এসেছে। আমরা চাই সব সময়ই ফাইনালে মোহামেডান খেলুক আবাহনীর বিপক্ষে। আশা করি, ভবিষ্যতে এমনই হবে।’
মোহামেডান সমর্থকরা আরও এককাঠি সরেস। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে শত শত সমর্থক যাচ্ছেন কুমিল্লায়, স্থানীয় সমর্থক তো আছেই, রাজশাহী থেকেও আসছে সমর্থক গোষ্ঠী। বিষয়টি জানিয়েছেন ‘ব্যতিক্রমধর্মী মোহামেডান সমর্থকবৃন্দ মহাপাগল’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি টি ইসলাম তারিক। তার কথা, ‘এ তো তেমন কিছুই না! এখন তো আর কিছু না হোক অন্তত কিছু একটা অর্জনের হাতছানি আছে; এমনও সময় ছিল যখন নিশ্চিত হার জেনেই দলের খেলা দেখতে ময়মনসিংহ, খুলনায় গেছি বিমানে করে।’
তিনি এই ম্যাচকে দেখছেন বাংলাদেশ ফুটবলের পুনর্জাগরণের একটা সুযোগ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচটা আমাদের দেশের ফুটবলের পুনর্জাগরণের একটা সুযোগ। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই একটা সময় দেশের ফুটবলের আগ্রহ-উন্মাদনার কেন্দ্রে ছিল। সেটাকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসার সুযোগ এই ম্যাচ।’