প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩ ২৩:১২ পিএম
আপডেট : ২৬ মে ২০২৩ ২৩:১৭ পিএম
সুতোয় ঝুলছে এশিয়া কাপের ভাগ্য। ভারত আগেই জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানে আসর হলে খেলোয়াড় পাঠাবে না। নিরাপত্তা ইস্যুতে পেছনে হটা ভারতকে আসরে রাখতে হুমকিও ছুড়েছে পাকিস্তান। ভারত এশিয়া কাপে অংশ না নিলে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বর্জন করবে তারা।
আরও পড়ুন : বর্ণবাদ ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন তেবাস
তাতেই নাকি সুর পাল্টেছে বিসিসিআইয়ের। দুদিন আগে আসরটির দুটি ভেন্যু চূড়ান্তও করে ফেলেছে পাকিস্তান। তবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, আইপিএলের ফাইনালের পর এশিয়া কাপ নিয়ে আসবে সিদ্ধান্ত।
২৮ মে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আইপিএল ফাইনাল। পরদিনই এশিয়া কাপের আয়োজকের নাম ঘোষণা করতে পারে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বোর্ড সভাপতিকে নিয়ে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত জানাবে বিসিসিআই।
এসিসির সভাপতি ও বিসিসিআই সদস্য সচিব জয় শাহ বলেছেন- ‘বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিরা আইপিএল ফাইনাল দেখতে আহমেদাবাদ আসবেন। আমরা তাদের সঙ্গে এশিয়া কাপ নিয়ে আলোচনা করব।’
তবে পাকিস্তানের জিও নিউজ জানিয়েছে, দুটি পর্যায়ে মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপ। প্রথম ধাপের অর্থাৎ গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ পাকিস্তানে হবে। ভেন্যু হিসেবে থাকবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম। আসরের বাকি ম্যাচগুলো হবে দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে।
পাকিস্তানে খেলতে আসতে বেঁকে বসা বিসিসিআইয়ের উদ্দেশ্যে দুটি অপশন দিয়েছে পিসিবি। একটি হাইব্রিড মডেল- ভারত তাদের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে পারবে এবং অন্য ম্যাচগুলো পাকিস্তান নিজেদের ভেন্যুতে আয়োজন করবে। অন্যটি- গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ পাকিস্তানের মাটিতে হবে এবং বাকিগুলো গড়াবে নিরপেক্ষ মাঠে।
বিসিসিআই চাচ্ছে এশিয়া কাপ পাকিস্তান থেকে সরিয়ে অন্য কোনো দেশে যেন আয়োজন করা হোক। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি কোনোভাবেই এশিয়া কাপের আয়োজকস্বত্ব হারাতে রাজি নন। শেঠি এশিয়া কাপ খেলতে ভারতকে ‘হাইব্রিড’ মডেলের একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রস্তাব অনুযায়ী হাইব্রিড মডেল মেনে নিলেও আমিরাত বা শ্রীলঙ্কায় হতে পারে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসর।
পিসিবি জানিয়েছে, এশিয়া কাপ আয়োজনের জন্য অন্য দেশগুলোর সমর্থন পাচ্ছে। এমনকি ভারতও তাদের হাইব্রিড মডেল মেনে নিয়েছে। তবে নতুন শর্ত হিসেবে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণের লিখিত নিশ্চয়তা চায় বিসিসিআই।
শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপ কোথায় হবে তা নিশ্চিত হতে পারে আইপিএলের ফাইনালের পর দিনই।