প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩ ২১:৫২ পিএম
আপডেট : ২৫ মে ২০২৩ ২১:৫৬ পিএম
ঘরোয়া মৌসুমের ব্যস্ততা শেষ। পুরো মৌসুমে ভালো করা তরুণ ক্রিকেটাররা এখন নিজেদের ঝালিয়ে নেবেন হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ক্যাম্পে। তরুণদের জন্য রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা। তবুও এইচপি চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের আক্ষেপ পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামোগত সুবিধা দিতে না পারার।
আরও পড়ুন : ‘হারানোর কিছু নেই’ বাংলাদেশের
গতকাল মিরপুরে এইচপি ক্যাম্পের প্রথম দিনে দল ও কোচের সঙ্গে বৈঠক করেন বিসিবির এই পরিচালক। ওই বৈঠকের পর মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ক্যাম্পের যাবতীয় বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
সেখানেই দুর্জয় পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামোগত সুবিধা দিতে না পারার আক্ষেপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে (সুবিধা দিতে পারা) সবকিছু পারিনি। কারণ অবকাঠামোতে কিছু কমতি আছে। যেমন মাঠ, ইনডোর ও জিম। বৃষ্টির মৌসুমে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। এইচপির ক্যাম্পও বৃষ্টির মৌসুমে করতে হয়।’ সুবিধা বাড়াতে কী করতে হবে সেই উপায়ও বাতলে দেন, ‘বৃষ্টির মৌসুমে করতে হয়। আরও কিছু অবকাঠামো উন্নতি করতে হবে। বিশেষ করে ইনডোর ও জিম।’
সাধারণত এইচপির জন্য মৌসুমভিত্তিক কোচ নিয়োগ করা হয়। ওই ধারা থেকে বেরিয়ে ডেভিড হেম্পকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। ক্রিকেটারদের ভালো করে বুঝতে পারবেন, সেই আশা থেকেই হেম্পের সঙ্গে চুক্তি হয় দীর্ঘমেয়াদি। দুর্জয় বলেন, ‘(দীর্ঘ সময় থাকলে) কোচের সঙ্গে বোঝাপড়াটা ভালো হয়। তাই দুই বছরের জন্য ডেভিড হেম্পের সঙ্গে চুক্তি করেছি।’
এইচপি ক্যাম্পে সাধারণত ক্রিকেটারদের স্কিল ও ফিটনেসের দিকেই নজর দেওয়া হয়। এবার পেশাদার মনোবিদ ডেভিড স্কটের মাধ্যমে মানসিক দিকটাও নজরে রাখছে বিসিবি। জাতীয় দলে এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি যাতে হতে না হয় সেজন্য এই উদ্যোগ।
ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করতে রাখা সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া নিয়ে দুর্জয় বলেন, ‘খেলোয়াড়দের যা সুযোগ-সুবিধা পাওয়া উচিত, তা দেওয়ার জন্য এসবের সঙ্গে পরিচিত করা হয়েছে।’ সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে ক্রিকেটাররা ভালো করলে সেটা দেশের জন্য আশীর্বাদ। সফল হলে পুরো কৃতিত্ব ক্রিকেটারদেরই, ‘ক্রিকেটাররা যত ভালোভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবে ততই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো। তারাই জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটা আমাদের কিছু নয়, পুরোটাই খেলোয়াড়দের।’- আরও যোগ করেন দুর্জয়।