অ্যাথলেটিকস
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩ ২২:৪৯ পিএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৩ ২২:৫৭ পিএম
এ বছরই প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকসের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। সে প্রতিযোগিতায় অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন : ফাইনালের টিকিট পেতে লড়াইয়ে ইন্টার-সিটি সমর্থকরা
জেলা পর্যায়ে না খেলেও চূড়ান্ত পর্বে খেলেছেন, এমন অভিযোগ উঠছে; সঙ্গে উঠে আসছে জেলায় এক ইভেন্টে খেলা অ্যাথলেটকে চূড়ান্ত পর্বে অন্য ইভেন্টে খেলানোর কথাও।
এমনসব অভিযোগের জেরে খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মুর্তজা রশিদী দারাকে শোকজ করেছে অ্যাথলটিকস ফেডারেশন।
দারার বিপক্ষে ফেডারেশনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ আছে। প্রথমটি হচ্ছে, নিয়মবহির্ভূত উপায়ে চূড়ান্ত পর্বে অ্যাথলেট পরিবর্তন। সঙ্গে আছে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার আর দুর্নীতিও।
দারার বিপক্ষে এমন অভিযোগ অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে বাংলাদেশ যুব গেমসে অংশ নিয়েছিল খুলনা। সেখানেও খেলোয়াড়দের বয়স, জেলা ও ডিসিপ্লিনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। এমনকি সে আসরেও তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ ছিল। তবে শোকজ নোটিসে আমলে আনা হয়েছে আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকসে তার কার্যকলাপই।
দারার বিপক্ষে এমনসব অভিযোগের বিষয়ে আগেই খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় চিঠি গিয়েছিল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও সাধারণ সম্পাদক এই অভিযোগের কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১৪-এর ১৪.২ ধারা অনুযায়ী কেন সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিস জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, কেন দারার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার প্রতিটি দফার জবাব সাত কর্মদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা।
এ বিষয়ে মুর্তজা রশিদী দারার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, ‘আমাকে শোকজ করা হয়েছে, আমি এটার উত্তর দেব। আপাতত আমি এ ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছি না।’
তবে এরপরই তিনি জানান, কাজগুলো তার একার করা নয়! তার ভাষ্য, ‘প্রতিভা অন্বেষণের জন্য আমাদের কোচ, ম্যানেজার বসে এগুলো করেছি। এখন আমার নামে এ অভিযোগ এসেছে, আমি এটার উত্তর দেব, এরপর সভায় এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে, এমনই আরকি।’