প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৩ ১৭:১৮ পিএম
আপডেট : ০৭ মে ২০২৩ ১৭:৪১ পিএম
উদকেট উদযাপনে ব্যস্ত ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেটাররা, ছবি- আ. ই. আলিম
কারও পা নেই, কারও নেই হাত। অনেকেই আছেন যারা ঠিকঠাক হাঁটতেও পারেন না! শারীরিক সক্ষমতা পুরোপুরি না থাকা এমনই ক্রিকেটারদের উদ্যম দেখে রীতিমতো বিস্মিত আকরাম খান-হাবিবুল বাশার সুমন। প্রচণ্ড গরমে তারা যেভাবে মাঠের ক্রিকেটে লড়ছিলেন তা দেখে দারুণ আশাবাদী এই দুই সাবেক তারকা ক্রিকেটার! শারীরিক সীমাবদ্ধতাকে উড়িয়ে যারা ক্রিকেট খেলছেন তাদের নিয়ে পরিকল্পনাও আছে আকরাম-সুমনদের।
আরও পড়ুন - আহমেদাবাদে মুখোমুখি দুই ভাই
১০ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এখান থেকে উঠে আসা ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দল পাঠানো হবে বিশ্বকাপে। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে এবারই প্রথম এত বড় আয়োজন করল বিসিবি। গতকাল পূর্বাচলে শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চেয়ারম্যান আকরাম খান।
শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাবতে চান না এখানে আসা ক্রিকেটাররা। এখান থেকে উঠে আসা ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপে পাঠানো হবে বলে জানান ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চেয়ারম্যান আকরাম খান। তাদের নিয়ে স্বপ্ন তো দেখাই যায়। কারণ শুধু ক্রিকেট ম্যাচ নয়, জীবনযুদ্ধেও যে জিতছেন গাজীপুরের হৃদয়, রংপুরের এক হাত নিয়ে ব্যাট করা রাজকুমারের মতো সাহসী ক্রিকেটাররা।
শারীরিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে মাঠে লড়াই করা ক্রিকেটারদের দেখে মুগ্ধ হলেন হাবিবুল বাশার সুমন। জাতীয় দলের এই নির্বাচক বলছিলেন, ‘আমার কাছে খুব অবাক লেগেছে, শারীরিক সক্ষমতা সবার নেই। সবার কিছু না কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু এই গরমের মধ্যে যেই আগ্রহ নিয়ে তারা খেলছে, যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে খেলছে, এটা আসলেই দেখার মতো বিষয়। ওদেরকে যে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, এটা খুব ভালো একটা বিষয়। আমার যাদের সঙ্গেই কথা হয়েছে, তারা খুব খুশি।’
প্রতিবন্ধী এই ক্রিকেটারদের পাশে সবারই থাকা উচিত বলে মনে করেন হাবিবুল বাশার, ‘আমাদের সবারই তাদের ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিত। যখন খেলা হয়, আমরা যদি আসি খেলা দেখতে, তারা আগ্রহবোধ করবে। একটা মঞ্চ দিতে পেরেছি তাদের জন্য, এটা বড় একটা বিষয়। আমরা সুস্থ সবল থেকেও অনেক সময় খেলতে অনীহা প্রকাশ করি। কিন্তু ওরা অনেক কষ্টের মধ্যেও খুব আগ্রহ নিয়ে খেলছে।’
বিসিবিরও তাদের নিয়ে পরিকল্পনা আছে বলে জানালেন বাশার, ‘আমি নিশ্চিত ক্রিকেট বোর্ডের যে পরিকল্পনা, এটা আরও কাঠামোবদ্ধ হবে। সারা দেশে যদি আমরা ডিজ্যাবল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ছড়িয়ে দিতে পারি। আমাদের কিন্তু বাংলাদেশে একটা বিষয় আছে, ন্যাচারাল ট্যালেন্ট অনেক বেশি। আমরা এই সুযোগটা তৈরি করতে পারি।’
আকরাম খানও একইভাবে আশার কথা শোনালেন, বিশ্বে ব্লাইন্ড ক্রিকেট বা হুইলচেয়ার টুর্নামেন্ট হয়। আমি একটা খুব ভালো সম্ভাবনা দেখছি যে, বাংলাদেশেরও সম্ভাবনা আছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আমরা শুরু করলাম। দুয়েক বছরের মধ্যে এটা গুছিয়ে বাংলাদেশ দল নামে যাবে, বিসিবির অধীনে যাবে। আমরা যদি এটাতে সিরিয়াস থাকি তাহলে ওরা কিন্তু অনেক সাফল্য আনবে। যেরকম নারী ক্রিকেটে এনেছে, জাতীয় দল এনেছে।’