প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৩ ১৩:১৪ পিএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৩ ১৪:২১ পিএম
প্রথম দফায় আরসিবিতে থাকাকালে সতীর্থদের সঙ্গে কেদার
ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েছে কেদার যাদবের। না হলে কি আর এমন হয়! যার স্থান ছিল কমেন্ট্রি বক্সে সেই যাদবই কি না মাঠে নেমে পড়বেন ব্যাট হাতে। অথচ অবিক্রীত ছিলেন নিলামে, দল পাননি আগের বছরও। তাই বাধ্য হয়ে ধারাভাষ্যে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু একটি ফোন কল সব পাল্টে দিল। যাদব বনে গেলেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটার, পেয়ে গেলেন কোটি টাকার চুক্তি।
চোট পাওয়া ডেভিড উইলির বদলে আরসিবি কদিন আগেই দলে নিয়েছে কেদারকে। কীভাবে একটি ফোন কলেই চলতি আইপিএলে নিজের ভূমিকা বদল হয়, সেই গল্প শুনিয়েছেন যাদব, ‘খুব অবাক হয়েছিলাম, তবে অত্যন্ত খুশি হয়েছিলাম ফোনটা রিসিভ করে। রীতিমতো উত্তেজিত। আরসিবির সাপোর্ট স্টাফদের ধন্যবাদ আমাকে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।’
আমি বলি যে, এখন ধারাভাষ্য দিচ্ছি। উনি খোঁজ নেন আমি অনুশীলন করছি কি না। আমি জানাই যে, সপ্তাহে দুবার প্র্যাকটিস করি
দুই মৌসুম অবিক্রীত থাকা যাদবকে ফোন করেছিলেন আরসিবির হেড কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার। যাদবের ভাষায়, ‘আমি ধারাভাষ্য দিচ্ছিলাম। সঞ্জয় বাঙ্গার আমাকে কল করে জিজ্ঞাসা করেন আমি কী করছি। আমি বলি যে, এখন ধারাভাষ্য দিচ্ছি। উনি খোঁজ নেন আমি অনুশীলন করছি কি না। আমি জানাই যে, সপ্তাহে দুবার প্র্যাকটিস করি। বাঙ্গার পরে আমার ফিটনেস নিয়ে জানতে চান। আমি বলি, প্রতিদিন জিম করি, এমনকি হোটেলেও জিমে যাওয়া জারি রেখেছি। সব মিলিয়ে সংক্ষেপে আমি জানাই যে, আমি খেলার মতো পরিস্থিতিতে রয়েছি।’
আরও পড়ুন :
যাদব আরও বলেন, ‘বাঙ্গার তখন বলেন একটু সময় দাও, আমি তোমাকে ফোন করব। আমি তখনই বুঝতে পারি যে, বাঙ্গার আমাকে কল করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলার কথা বলতে পারেন।’ এবার সেই সুযোগও হয়ে গেল, তাও কোটি টাকার চুক্তিতে। ২০১৬ সালের পর দ্বিতীয় দফায় আরসিবি যাদবকে ১ কোটি টাকার বিনিময়ে দলে ফেরায়। বলাই যায় যে, এক ফোনেই কোটি টাকার চুক্তি করেছেন যাদব।