৩৩ বছর পর সিরি এ চ্যাম্পিয়ন নাপোলি

কত এলো আর কতজন গেল, কিন্তু নাপোলির স্কুদেত্তো জেতা হচ্ছিল না। একে একে কেটে গেল ৩৩ বছর। শেষবার যার হাত ধরে সিরি এ শিরোপা নেপলসে এসেছিল সেই দিয়েগো ম্যারাডোনাও প্রয়াত হয়েছেন। অবশেষে ঘুচল খরা, ধরা দিল সোনার হরিণ—১৯৯০ সালের পর আবারও ইতালিয়ান লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে ভাসতে পারলেন নাপোলির সমর্থকরা।

মঞ্চ প্রস্তুত ছিল, শুধু ছিল অপেক্ষা। সেই অপেক্ষার প্রহর খানিকটা লম্বা হয়েছিল এবারও। তবে বৃহস্পতিবার রাতে উদিনেসের বিপক্ষে ১ পয়েন্ট তুলে লুসিয়ানো স্পাল্লেত্তির শিষ্যরা ঘুচিয়ে দিয়েছেন সব সমীকরণ। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ১-১ গোলে ম্যাচে রেফারি যখন শেষ বাঁশিতে ফুঁ দিয়েছিলেন তখন লেখা হয়ে গেছে— সিরি এ চ্যাম্পিয়ন নাপোলি।

লিগ ইতিহাসে এত দ্রুত আগে জিততে পেরেছে মোটে চারটি দল—১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে তুরিনো, ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে ফিওরেন্টিনা, ২০০৬-০৭ মৌসুমে ইন্টার মিলান ও ২০১৮-১৯ মৌসুমে জুভেন্টাস। আর এবার দুর্দান্ত ধারাবাহিক নাপোলি

৩৩ ম্যাচে লাপোলির পয়েন্ট ৮০। সমান ম্যাচে তাদের চেয়ে ১৬ পয়েন্ট পিছিয়ে ২ নম্বরে লাৎসিও। অর্থাৎ শিরোপার দৌড় নাপোলি বাদে বাকিদের এখানেই শেষ। পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরি এ শিরোপা জেতা ভিক্টর ওসিমেনরা রেকর্ডও গড়েছেন। লিগ ইতিহাসে এত দ্রুত আগে জিততে পেরেছে মোটে চারটি দল—১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে তুরিনো, ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে ফিওরেন্টিনা, ২০০৬-০৭ মৌসুমে ইন্টার মিলান ও ২০১৮-১৯ মৌসুমে জুভেন্টাস। আর এবার দুর্দান্ত ধারাবাহিক নাপোলি।

নাপোলির উৎসবে ছিলেন কিংবদন্তি ম্যারাডোনাও

খেলা উদিনেসের মাঠে হলেও উৎসবের জোয়ারে মেতেছিল নাপোলি স্টেডিয়ামও।  ফুটবল ইতালিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ম্যাচের জন্য ১০ হাজারের মতো নাপোলি সমর্থক হাজির ছিলেন প্রতিপক্ষের মাঠে। আর ৫০ হাজারের বেশি সমর্থক আরমান্দো স্টেডিয়ামে জমায়েত হয়ে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখেন খেলা। খেলা শেষে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয় নেপলস। রাস্তায় নেমে উচ্ছ্বসিত সমর্থকরা আতশবাজি ফোটাতে থাকেন। 

স্টেডিয়ামের ভেতরে ১০ হাজার ও বাইরে আরও ৫ হাজার নাপোলি সমর্থক হাজির ছিলেন। ৫০ হাজারের বেশি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন নাপোলির হোম গ্রাউন্ড নেপলসের স্তাদিও দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনায় জায়ান্ট স্ক্রিনে ম্যাচটি দেখানো হয়।

আরও পড়ুন : 

• ফিফা আইন ভেঙেছেন সালাউদ্দিন
• পিএসজি সমর্থকদের তোপের মুখে মেসি-নেইমার
• কলকাতায় লিটনের বদলি চার্লস
  

উদিনেসের মাঠে অবশ্য আবারও শিরোপা উৎসবে মাতা পেছানোর শঙ্কায় পড়েছিলেন সমর্থকরা। প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের ১৩ মিনিটেই গোল হজম করে বসে নাপোলি। সানসি লোভরিচের জোরালো শটে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যান সফরকারীরা। শিরোপা নিশ্চিত করা গোলটি আসে ৫২ মিনিটে। কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বলে ডান পায়ে নিখুঁত শটে লক্ষ্য ভেদ করেন ভিক্টর ওসিমেন। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত লিগের সর্বাধিক গোল স্কোরারের গোলের লেখা হয় ইতিহাস, ৩৩ বছর পর শিরোপা জিতেছে নাপোলি।