প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৩১ পিএম
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৩৬ পিএম
২০২২-২৩ মৌসুমের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খাবি খেয়েছে মোহামেডান, তবে ফেডারেশন কাপে ঠিকই অপ্রতিরোধ্য ছিল দলটি। এ গ্রুপ থেকে সেরা দল হয়ে এসেছিল নকআউটে। মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে এসে লিগে আমূল বদলে গেছে মোহামেডান। ফেডারেশন কাপে যেন দলটা আরও অপ্রতিরোধ্য। শেষ আটে চট্টগ্রাম আবাহনীকে পাত্তাই দেয়নি কোচ আলফাজ আহমেদের দল। ৪-১ গোলের দাপুটে জয়ে পৌঁছে গেছে সেমিফাইনালে। চূড়ান্ত লড়াইয়ে যাওয়ার দ্বৈরথে দলটি মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা কিংসের।
আরও পড়ুন : ছদ্মবেশ নিয়েও এড়াতে পারলেন না মেসি
নিজেদের মাঠ কুমিল্লার ভাষাশহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে দলটি মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম আবাহনীর, লিগে যারা লড়ছে অবনমন এড়াতে। সেই দলটার বিপক্ষে এমন জয় অবশ্য প্রত্যাশিতই ছিল সাদা-কালোদের। স্কোরলাইনের মতো মাঠের পারফরম্যান্সটাও ছিল বেশ দাপুটে। দুই অর্ধে সুলেমান দিয়াবাতেরা বের করে নিয়েছেন দুটো করে গোল।
শুরু থেকে প্রতিপক্ষ রক্ষণে ত্রাস ছড়ানো মোহামেডান গোলের দেখা পেয়ে যায় ২০ মিনিটে। গোলটা করেন এমানুয়েল সানডে। ডানপ্রান্ত ধরে প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় উঠে আসা শাহরিয়ার ইমনের কাটব্যাক বক্সের মাঝে থাকা সানডেকে। বক্সের মাঝে বলটা পেয়ে জোরালো শটে প্রতিপক্ষের জালে জড়ান নাইজেরিয়ান এই স্ট্রাইকার।
পরের গোলের জন্য অপেক্ষাটা বেশিক্ষণ করতে হয়নি মোহামেডানকে। ৩৪ মিনিটে অবিশ্বাস্য এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি। কর্নার থেকে মোজাফফরভের নেওয়া শট প্রতিপক্ষ রক্ষণ ও গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে। ফেডারেশন কাপ সাক্ষী হয় অলিম্পিক গোলের। ২-০ গোলের লিড নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে মোহামেডান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তৃতীয় গোলের দেখা পেয়ে যায় মোহামেডান। বক্সের বাইরে থেকে সতীর্থের বাড়ানো লব বক্সের ভেতরে পেয়ে যান সুলেমান দিয়াবাতে। তার সামনে ছিলেন শুধু গোলরক্ষক। সেটা আলতো টোকায় জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি। ৩-০ গোলে এগিয়ে মোহামেডান ম্যাচটা চট্টগ্রাম আবাহনীর ধরাছোঁয়ার বাইরেই নিয়ে যায় রীতিমতো।
আলফাজ আহমেদের শিষ্যরা তাতেই তৃপ্ত হননি। ৭০ মিনিটে বক্সের সামনে বল পেয়ে যান সুলেমান। শেষ ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে জোরালো শট নেন দূরের পোস্টে। চট্টগ্রাম আবাহনী গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন ঝাঁপিয়ে পড়েও পাননি বলের নাগাল। ম্যাচটার নিয়তি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল অনেকটা। সে গোলে ‘ব্লু পাইরেট’দের দুর্দশা বাড়ে আরেকটু।
তবে সান্ত্বনাসূচক গোলের দেখা দলটা পেয়েছে এরপর। ৭৬ মিনিটে ক্যান্ডি অগাস্টিন প্রতিপক্ষ বক্সে হন ফাউলের শিকার, রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। সে পেনাল্টি থেকে দারুণ এক পানেনকা শটে গোল পেয়ে যান অগাস্টিন।
এর আগে-পড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী খেলোয়াড় বদলে ম্যাচে গতি এনেছে। তবে ৪ গোলের এভারেস্টসম ব্যবধান যে ঘোচানো চাট্টিখানি কথা নয়! সে ব্যবধান ঘোচাতেও পারেনি দলটি। ৪-১ গোলের জয় নিয়ে মোহামেডান তৃতীয় দল হিসেবে নিশ্চিত করে ফেড কাপের সেমিফাইনাল। এর আগে বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনী লিমিটেড জায়গা করে নিয়েছিল শেষ চারে।
এই জয়ের পর মোহামেডানের জন্য অপেক্ষা করছে বড় এক পরীক্ষা। শেষ চারে যে তাদের লড়াইটা হবে বাংলাদেশ ফুটবলের পরাশক্তি বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে! আগামী ৯ মে শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে দলটি খেলবে বসুন্ধরার বিপক্ষে।