প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৩১ এএম
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৩৩ এএম
দুর্নীতির দায়ে গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা। সে সিদ্ধান্তকে সোহাগ মনে করছেন নিজের প্রতি ‘অবিচার’ হিসেবে, জানান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তিনি আরও জানিয়েছেন, সোহাগ শিগগিরই এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে।
আরও পড়ুন : সোহাগের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
বিষয়টা অবশ্য তার আগেই জানা হয়ে গেছে সোহাগের আইনজীবী আজমালুল হোসেনের এক বিবৃতিতে। দুই পৃষ্ঠার এক বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, সোহাগ যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে।
শুক্রবার দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি ১২ লাখ টাকা জরিমানার মুখেও পড়েন সোহাগ। এরপর থেকেই সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তার সাড়া কোনোভাবেই মিলছিল না। অবশেষে গতকাল তার পক্ষের এই বিবৃতিটি সোহাগ নিজেই ফরোয়ার্ড করেন ক্রীড়াঙ্গনের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে।
সে প্রতিবেদনে সোহাগের আইনজীবী দাবি করেন, ফুটবলসংশ্লিষ্ট নিয়মনীতি মেনেই খরচ করা হয়েছে ফিফার ফান্ড। আর্থিক অসঙ্গতি নিয়ে শুনানি চলাকালে বাফুফে অনুমোদিত সকল লেনদেনের নথি ফিফাকে দেওয়া হয়েছিল।
তবে ফিফার তদন্ত কমিটি সেসব নথি বিবেচনাতেই আনেনি। গত শুক্রবার যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেটাতেও তা আমলে আনা হয়নি। যে কারণে ফিফার সিদ্ধান্তকে ভ্রান্ত, ত্রুটিপূর্ণ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পক্ষপাতমূলক আচরণ আখ্যা দেওয়া হয় সে বিবৃতিতে।
গত শুক্রবার যেমন বিবৃতি দিয়েছে ফিফা, গত ফেব্রুয়ারির শুনানিতে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়াই নাকি দেখায়নি বিচার আদালত। আজমালুলের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিফা তখন জানাচ্ছিল, ফিফা ফান্ডের কোনো অপব্যবহার হয়নি। সোহাগ স্বচ্ছ তথ্যই পরিবেশন করেছেন।’
সে কারণেই বাফুফে সভাপতির কাছে নিজেকে ‘অবিচারের শিকার’ বলে দাবি করেছেন সোহাগ। যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে।