প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:০৮ পিএম
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:২৬ পিএম
ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পরও আশা ছিল। বাকি সময়টুকু সিটিকে আটকে রাখতে পারলে শোধ নেওয়া যেত বায়ার্ন দুর্গে। কিন্তু এখানেও হালান্ড। বায়ার্নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন ম্যাচের ৭৬ মিনিটে। ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৩-০। যেই গোল বায়ার্নকে একরকম ছিটকে দিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের রেস থেকে। এই গোলেই সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন হালান্ড। যদিও এখানেই শেষ দেখছেন না বায়ার্ন কোচ টমাস টুখেল। এই হারের মোক্ষম জবাব দিতে চান জার্মান ডেরায়।
আরও পড়ুন - নতুন প্রেমে ধাওয়ান
পেপ গার্দিওলার জন্য ম্যাচটি ছিল ২০২১ সালে টমাস টুখেলের চেলসির বিপক্ষে হারের প্রতিশোধ নেওয়ার। বায়ার্নের ডাগআউটে বসা টুখেলের বিপক্ষে সেই শোধই নিয়েছেন গার্দিওলা। ইতিহাদে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বায়ার্নকে চেপে ধরেন তার শিষ্যরা। একের পর এক আক্রমণে কাঁপন ধরান বায়ার্ন দুর্গে। তবে সিটি সমর্থকদের প্রথম উদযাপন করতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের ২৭ মিনিট পর্যন্ত। বের্নার্দো সিলভার বাড়ানো বল দারুণ দক্ষতায় জালে জড়িয়ে উল্লাসে মাতেন রদ্রি। এরপর গোল করার আরও বেশকিছু সুযোগ তৈরি হলেও কাজে লাগানো যায়নি তা। বায়ার্নও ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়ান গার্দিওলার শিষ্যরা। কাজও হয় তাতে। তবে শুরুতে গোল পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে সিটি ফুটবলারদের। ম্যাচের ৭০ মিনিটে হালান্ডের বাড়ানো বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সিলভা। এর ৭ মিনিট পর গোল করেন মৌসুমে দারুণ ছন্দে থাকা হালান্ড। সেই গোলে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান নরওয়েজিয়ান তারকা। প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হিসেবে এক মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৪৫ গোল করার কীর্তি গড়েছেন এই সিটি তারকা।
হালান্ডের আগে ২০১৭-১৮ মৌসুমে লিভারপুলের তারকা মোহামেদ সালাহ সব ধরনের প্রতিযোগিতায় করেছিলেন ৪৪ গোল। তার আগে ২০০২-০৩ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডাচ ফুটবলার রুড ফন নিস্টলরয় প্রথম গড়েছিলেন এই কীর্তিটি। নিস্টলরয়ও সেবার সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছিলেন ৪৪ গোল।
দাপুটে জয়ের পরও ম্যাচটি সহজ ছিল না বলে জানিয়েছেন গার্দিওলা, ‘ম্যাচটা মোটেও সহজ ছিল না... আবেগের দিক দিয়ে আমি একেবারে শেষ হয়ে গেছি আজ। আমার বয়স ১০ বছর বেড়ে গেছে। বায়ার্নের মতো দলকে যদি আপনি চ্যাম্পিয়নস লিগ নকআউট করে এগিয়ে যেতে চান, তাহলে আপনার অবশ্যই দুটি দুর্দান্ত ম্যাচ লাগবে, একটি হলে চলবে না।’
এদিকে বড় ব্যবধানে হারলেও বায়ার্নের নতুন কোচ টুখেল তাকিয়ে আছেন ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটির দিকে। তার মতে, ‘এটা ফুটবল খেলা। আর জার্মানির মাঠে হোম ম্যাচ, তেমনই। শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছুই বলা যায় না। এই ম্যাচের ফলাফলে ছেলেদের গুরুত্ব দিতে দেব না আমি। এই ফল আমাদের প্রাপ্য ছিল না, গোটা ম্যাচের গল্প ফুটে উঠছে না এতে। ম্যাচে অনেক কিছুই আমরা ভালোভাবে করেছি। যদিও সেই ইতিবাচক দিকগুলোয় নজর দেওয়া অবশ্য কঠিন হবে এমন ফলের পর। তবে আমরা সাহস ও দারুণ মানসিকতা নিয়ে খেলেছি, যথেষ্ট মানসম্পন্ন ছিল আমাদের খেলা। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা হাল ছাড়ব না। লড়াই করব।’