ডিআরএসেও আম্পায়ারদের জয়

মানুষ মাত্রই ভুল করে। আম্পায়াররাও ব্যতিক্রম নন। তারাও ভুল করেন। তাদের মানবিক ভুলগুলো শোধরানোর জন্য ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) চালু আছে ক্রিকেটে। বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার ঢাকা টেস্টে আম্পায়ারদের দেওয়ার সিদ্ধান্তে ১৫ বার চ্যালেঞ্জ করেছেন ক্রিকেটাররা। মাঠে দায়িত্ব পালন করা দুই আম্পায়ার আলীম দার ও শরফুদৌল্লা ইবনে সৈকতের ওই সিদ্ধান্তগুলো বেশিরভাগ সময়ই ছিল বহাল। তাদের দেওয়া মাত্র দুটি সিদ্ধান্ত টিভি আম্পায়ারের কাছে গিয়ে বদল হয়েছে।

আরও পড়ুন : নতুন কোচেও পুরোনো চেলসি

ঢাকা টেস্টে ১৫ বার আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানায় বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। এর মধ্যে মাঠের আম্পায়ারদের দেওয়া সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে মোটে দুইবার। সেটাও ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে এসে। আগের দুই ইনিংসে একবারও আম্পায়ারদের নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করতে হয়নি। 

আয়ারল্যান্ডের দুই ব্যাটিং ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ১২ বার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ জানান ক্রিকেটাররা। দুই ইনিংসেই ছয়বার করে চ্যালেঞ্জ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের দুই ইনিংসে নেওয়া হয় তিনটি রিভিউ। ১৫ বার নেওয়া রিভিউয়ের মধ্যে আম্পায়ার্স কল ছিল তিনবার। অর্থাৎ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তগুলো ৫০-৫০ ছিল।

বাকি ১২ রিভিউয়ের মধ্যে দুইবার মাঠের আম্পায়ারের দেওয়ার সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। মাঠে দায়িত্ব পালন করা আলীম দার ও শরফুদৌল্লা ইবনে সৈকত উভয়েরই একটি করে সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। বাকি ১০ বার তাদের সিদ্ধান্তেই বহাল ছিলেন টিভি আম্পায়ার আহসান রাজা।

এলিট প্যানেল আম্পায়ার আলীম দারের ৮টি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান ক্রিকেটাররা। পাঁচবার ব্যাটারকে নটআউট ও তিনবার আউট ঘোষণা করেন। আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে জেমস ম্যাককলামকে আউট ঘোষণা করেননি আলীম দার। সাকিবের ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রিভিউ নেন। টিভি আম্পায়ার আহসান রাজা মাঠের আম্পায়ার আলীম দারের সিদ্ধান্ত বদল করে দেন। ওই একবারই আলীম দারের সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। ওই ঘটনার পর তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আরও তিনবার রিভিউ নেন ক্রিকেটাররা। তবে আলীম দারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন আহসান রাজা।

শরফুদৌল্লা ইবনে সৈকতের সিদ্ধান্তে ৭ বার চ্যালেঞ্জ জানান ক্রিকেটাররা। তিনি তিনবার ব্যাটারদের আউট ও চারবার নটআউট ঘোষণা করেন। তার সময়ে সবচেয়ে বেশি দুইবার হয়েছে আম্পায়ার্স কল। আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের ৭৮তম ওভারে অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইনকে আউট ঘোষণা করেন শরফুদৌল্লা। আইরিশ ব্যাটার রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। তার ওই সিদ্ধান্তের পর আর কোনো ব্যাটার কিংবা বোলার শরফুদৌল্লার কোনো সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাননি। এর আগের ছয় সিদ্ধান্ত টিভি আম্পায়ারের কাছেও বহাল ছিল। 

ঢাকা টেস্টে সবচেয়ে বেশি ১০ বার আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানায় আয়ারল্যান্ড। বিপরীতে বাংলাদেশ রিভিউ নেয় মাত্র পাঁচবার। আলীম দারের সিদ্ধান্তের বিপরীতে তিনবার রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। আর শরফুদৌল্লার সময় দুইবার চ্যালেঞ্জ জানায় সাকিবের দল। আলীম দার ও শরফুদৌল্লা উভয়ের ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ডের রিভিউ নেওয়ার সংখ্যাটা অনেক বেশি। দুইজনের ক্ষেত্রে পাঁচবার করে রিভিউ নিয়েছে আইরিশরা। দুই দলই একবার করে সফল হয়েছে। সাফল্য-ব্যর্থতার অনুপাত ২:১৩। সাফল্যের হার মাত্র ১৩.৩৩ শতাংশ।