প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ২২:১৫ পিএম
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৩৮ পিএম
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে বাংলাদেশের মেয়েরা। দেশকে সাফল্য এনে দেওয়া মেয়েদের জন্য ৫০ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করে বিসিবি। সেই অনুযায়ী গত বছরের অক্টোবরেই প্রত্যেক ফুটবলারের নামে নামে তৈরি করা হয় চেক। শেষ পর্যন্ত বাফুফের অসহযোগিতায় চেক পায়নি মেয়েরা। অবশেষে নতুন করে ইস্যুকৃত চেক আজ মেয়েদের হাতে তুলে দিয়েছে বিসিবি।
আরও পড়ুন : পুরস্কার নিতে বিসিবিতে সাফজয়ী ফুটবলাররা
মেয়েদের হাতে ৫০ লাখ টাকা তুলে দেওয়ার কথা ছিল বিসিবির। তবে পূর্বঘোষিত অর্থ সমন্বয়ের জন্য বিসিবি আরও ১ লাখ বাড়িয়ে ৫১ লাখ টাকা মেয়েদের হাতে তুলে দিয়েছে। আজ শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই পুরস্কার নিতে উপস্থিত হন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার ও গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে ছিলেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও বাফুফের মিডিয়া ম্যানেজার খালিদ মাহমুদ নওমি।
নারী ফুটবলারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। এ ছাড়া বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস ও ইফতেখার আহমেদ মিঠু সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
চেক হস্তান্তরের পর জালাল ইউনুস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘গত অক্টোবরে চেক ইস্যু করা হয়েছিল। ৬ মাস পার হয়ে গেছে। আমরা নতুন করে আবার চেক ইস্যু করে তাদের হাতে তুলে দিলাম।’ মেয়েদের দেরিতে চেক পাওয়ার কারণ হিসেবে বাফুফেকেই দায়ী করেছেন, ‘তাদের সঙ্গে একটা যোগাযোগ ঘাটতি ছিল। আমরা চেয়েছিলাম এটা গত বছর দিতে। উনারাও ব্যস্ত ছিলেন। আমরাও কয়েকবার যোগাযোগ করেছিলাম। উনারা সময় করতে পারেননি, আমরাও চেক হাতে তুলে দিতে পারিনি।’
ঈদের আগে মেয়েদের হাতে চেক তুলে দিতে পারার উচ্ছ্বাসও ছিল তার কণ্ঠে, ‘উনাদের সম্মানিত কোচ এখানে এসেছেন, প্লেয়াররা এসেছেন, সাবিনা এসেছেন, বাকি প্লেয়াররা আসছেন, তাদের কাছে চেক হস্তান্তর করে আমরা আনন্দিত।’
এর আগে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বিসিবির কাছ থেকে পুরস্কারের অর্থ পাওয়ার ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে অভিযোগ করে বলেন, ‘বিসিবির খবর জানি না। অনেকে টিভি পর্দায় বলেছে।’ বিসিবি সভাপতি অবশ্য সেটা অস্বীকার করে বাফুফেই দায় দিয়েছিলেন। বুধবার নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ওরা (বাফুফে) নেয় না। বারবার বলা হচ্ছে। সুজনের (সিইও) সঙ্গে কথা বলেন, বলতে পারবে। আমাদের অক্টোবর মাসে চেক সই করা একদম নামে নামে।’