লিবিয়ায় বন্যা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৫৭ পিএম
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:২৩ পিএম
গলিত মরদেহ থেকে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত
লিবিয়ার স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় রবিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩০০। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১০ হাজারের বেশি। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এখন জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা না থাকলেও প্রতিদিন নিহত উদ্ধার হচ্ছে। তীরে ভেসে আসছে অর্ধগলিত মরদেহ।
মরদেহ শনাক্ত এড-হক কমিটির কর্মকর্তা কামাল আল-সিভি আলজাজিরাকে জানান, গত তিন দিনে ৪৫০ এর বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি ছাড়া বাকি সবগুলো ভেসে আসা অর্ধগলিত মরদেহ।
আল-সিভি বলেন, মরদেহ শনাক্তের কাজ দিনে দিনে কঠিন হচ্ছে। গত তিন দিনে যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের কয়েকজন ছাড়া বেশির ভাগের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। কারণ এসব মরদেহ গলতে শুরু করেছে।
যে ঢিমেতালে উদ্ধার কাজ চলছে তাতে তা শেষ হতে কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছর লেগে যেতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই কর্মকর্তা।
৯ সেপ্টেম্বর রাতে লিবিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর দেরনায় ঘূর্ণিঝড় দানিয়েল আঘাত করে। এতে দুটি বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে দেরন শহরের তিন-চতুর্থাংশ প্লাবিত হয়। শহরের কোনো কোনো অংশ ১০ ফিট পানির নিচে তলিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চার দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার
দেরনা শহরের বাসিন্দা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। শহরটির মেয়র আব্দুলমেনাম আল-গাইথি নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
নিখোঁজরা প্রায় সবাই নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাগরে ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপেও অনেক মরদেহ রয়েছে। এসব মরদেহ পচতে শুরু করায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এসব গলিত মরদেহ থেকে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেরনায় জাতিসংঘ, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের সহায়তায় ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার অর্থ উত্তোলনের ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ২০ লাখ ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার উপদ্রুত এলাকায় ডব্লিউএইচও ২৮ মেট্রিক টন জরুরি খাবার ও চিকিৎসা পণ্য পৌঁছেছে।
সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি, গার্ডিয়ান