প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩ ১১:৪২ এএম
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৩ ১২:৪৬ পিএম
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত
বর্ষা অধিবেশনের প্রথম দিনেই ভারতের মণিপুর নিয়ে উত্তাল হতে চলেছে সংসদ। বিরোধীরা এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করেছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে সংসদের অধিবেশন শুরুর আগেই মণিপুর নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি জানান, মণিপুরের ঘটনায় তিনি ব্যথিত।
তিনি বলেন, 'আমি জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই, কোনো অপরাধীকে রেহাই দেওয়া হবে না। আইন সর্বশক্তিমান। নিজের পথে আইন চলবে। মণিপুরে আদিবাসী নারীদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা কখনও ক্ষমা করা যাবে না।’
মোদি আরও জানান, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে তার কথা হয়েছে।
মোদি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বর্ষা অধিবেশনের আগে সংসদের সামনে ভারতের কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেছেন, ‘গতকাল সর্বদলীয় বৈঠকে বলা হয়েছিল যে, সরকার মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। স্পিকার ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান আলোচনার তারিখ ঠিক করবেন।’
আরও পড়ুন: দুই আদিবাসী নারীকে নগ্ন করে ঘোরানো নিয়ে তোলপাড়
অন্যদিকে সংসদবিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেছেন, ‘আমি গতকালও এই বিষয়ে (মণিপুর ইস্যু) কথা বলেছি। বিরোধীরা সংসদে কাজ করতে চায় না। তাই তারা আগে থেকেই মুলতবি প্রস্তাব আনছে। তারা আলোচনার দাবি করেছিল এবং আমরা হ্যাঁ বলেছি। তারা এখন নতুন অজুহাত খুঁজছে। এটা ঠিক নয়।’
অন্যদিকে শাসকদল মণিপুর নিয়ে আলোচনার কথা বললেও সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা।
এই নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘আজ আমরা সংসদে মণিপুরের বিষয়টি উত্থাপন করছি। নোটিশও দিয়েছি। আমরা দেখব, রাজ্যসভায় আমাদের চেয়ারম্যান এই বিষয়টি উত্থাপন করতে দেন কি না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নীরব। তাদের ৩৮টি দলকে (এনডিএ বৈঠকের জন্য) ডাকার সময় আছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেখানে (মণিপুরে) যাওয়ার সময় নেই।’
আরও পড়ুন: ভারতে নগ্ন করে ঘোরানো হলো দুই আদিবাসী নারীকে, গ্রেপ্তার হয়নি কেউ
আসামের কংগ্রেস সংসদ সদস্য গৌরব গগৈ এই ইস্যুতে বলেন, 'গতকাল আমরা মণিপুরের যে ভিজ্যুয়ালগুলো দেখেছি, তা আমাদের হতবাক করেছে। আমি মনে করি, প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর উচিত সংসদে এসে মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দেওয়া এবং শান্তির আবেদন জানানো। তার সরকারের ব্যর্থতার জন্য মণিপুরের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তাহলে হয়তো সেই রাজ্যের মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবে।'
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে