প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩ ১৪:৪২ পিএম
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৩ ১৮:৩৬ পিএম
বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত কুইন টাওয়ার। প্রবা ফাইল ফটো
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত কুইন টাওয়ার ভবনে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সনেশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাজ করছে।
শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়, সিটিটিসির উপ-পুলিশ কমিশনার মিশুক চাকমার নেতৃত্বে তাদের টিম কাজ করছে। বেলা ১১টা থেকে বিস্ফোরিত ভবন থেকে আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করেন তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির ধস ঠেকাতে অস্থায়ী সাপোর্ট
জানা গেছে, বিস্ফোরিত ভবনটির বেইজমেন্ট এবং নীচতলার ২৪ কলামের মধ্যে ৯টি কলাম বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ভবনটি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রোপিংয়ের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত কলামে স্টিলের পাইপ দিয়ে অস্থায়ী সাপোর্ট (দাঁড় করিয়ে রাখার ব্যবস্থা) দেওয়া হয়েছে। ভবনটির বাহিরের অংশের ক্ষতিগ্রস্ত কলামগুলোর পাশে ওই পাইপগুলো স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩টি পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি পাইপ বসানোর কাজ চলছে। পাইপগুলো স্থাপনের জন্য কাজ করছে রাজউক। এসব পাইপ বসানোর পর সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ১২ থেকে ১৫ জনের একটি দল কাজ করে।
বেসমেন্টে মাছির সূত্র ধরে দুই মরদেহ উদ্ধার
ভবনটিতে প্রোপিংয়ের কাজ করা রিয়াজ নামের একজন বলেন, ‘ভবনটিতে প্রোপিংয়ের কাজ করছি। বাহিরের অংশে ১৩টি পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। আরও কয়েকটি স্থাপনের কাজ চলছে।’
গত মঙ্গলবার বিকালে গুলিস্তানে বিআরটিসি বাস কাউন্টার-সংলগ্ন সিদ্দিকবাজারে কুইন ক্যাফে হিসেবে পরিচিত সাত তলা ভবনে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ভবনটির বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়। এতে ঘটনার দিনই প্রাণ হারান ১৮ জন। বিস্ফোরণে সেদিন পাশের সাত তলা ও পাঁচ তলা দুটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবশেষ আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আজম মির্জা নামের একজন।