প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৩ ১৭:০৮ পিএম
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩ ১৭:১৯ পিএম
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ইতিহাসচর্চার অনলাইন সংগ্রহশালা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’ সাত বছর পূর্ণ করল। ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই তরুণ গবেষক ও সংগ্রাহক গিরিধর দের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যক্তিগত সংগ্রহের ১০ হাজার ছবি ও পেপার কাটিং নিয়ে যাত্রা শুরু করে এ সংগ্রহশালা। তথ্যসমৃদ্ধ দেশ ও জ্ঞানমনস্ক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সংগ্রাহক গিরিধর দের পারিবারিক সংগ্রহশালার ছবি, পেপার কাটিং ও অ্যান্টিক পণ্য নিয়েই ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’-এর যাত্রা। আর এই সংগ্রহশালার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন তার বাবা সুধীর কুমার দে।
অভিনব উপায়ে দুষ্প্রাপ্য ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেন দেশের অতীত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে। শুরুর দিকে মাত্র ১০ হাজার সংগ্রহ সংখ্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে পরে সংগ্রহের সংখ্যা বাড়াতে অবলম্বন করেন বিভিন্ন উপায়। দেশব্যাপী দুষ্প্রাপ্য দলিলাদি সংগ্রহ, সেগুলো চর্চা, গবেষণা, তথ্যবিকৃতিরোধ ও ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে কাজের পরিধি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির সংগ্রহে রয়েছে প্রায় ৮০ হাজার দুষ্প্রাপ্য ছবি ও দলিলাদি। শুধু তাই নয়, সংগ্রহ, চর্চা, গবেষণা, প্রচার ও সংরক্ষণের পাশাপাশি বিনামূল্যে বিভিন্ন সেবাপ্রদানও করে থাকেন তারা। দেশব্যাপী ইতিহাস, সংস্কৃতি নিয়ে সৃষ্টিশীল কাজের প্রসার বৃদ্ধিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও জনসাধারণকে বিনামূল্যে বিভিন্ন সেবাও প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি।
সেবামূলক এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে তথ্য-ছবি-ভিডিও-দলিল-দস্তাবেজ-নথি-পত্রিকা সরবরাহ, হারানো বন্ধু/পরিবার/স্বজন খুঁজে পেতে সহায়তা, গবেষকদের সহায়তা, তথ্যসূত্র সরবরাহ ইত্যাদি।
সেবাগ্রহণের ক্ষেত্রে নিবন্ধিত সদস্য কিংবা প্রতিষ্ঠান চাইলেই একটি গুগল ফরম পূরণপূর্বক সেবাগুলো গ্রহণ করতে পারেন (আবেদন ফরম লিংক : https://forms.gle/zrzWXzGqS1fUPs84A)
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’-এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। সারা দেশে রয়েছে অসংখ্য ভলান্টিয়ার। প্রতি মাসে শুধু অনলাইনেই তাদের পাঠক সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি।
গিরিধর দে এবং তার গড়া প্রতিষ্ঠান কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ভূষিত হয়েছে নানা সন্মাননায়। ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ , নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’, 'হিরো অ্যাওয়ার্ড ২০২২', 'অগ্রযাত্রা কর্মদীপ্ত পদক ২০২২' নানা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।