প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩ ১৬:৫১ পিএম
আপডেট : ১৩ মে ২০২৩ ১৭:২৪ পিএম
নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন গিরিধর দে
স্বেচ্ছাশ্রমে নিজ উদ্যোগ ও অর্থায়নে দেশ ও জাতির কল্যাণে দেশব্যাপী ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ পুরস্কার পেলেন গিরিধর দে।
দেশের ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রিক প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার মাধ্যমে দেশব্যাপী ইতিহাস, সংস্কৃতি সম্পর্কৃত ছড়িয়ে থাকা দুষ্প্রাপ্য দলিলাদি সংগ্রহ, চর্চা, গবেষণা, প্রচার ও ডিজিটালভাবে সংরক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্যই এই পুরস্কার পান তিনি।
গতকাল শুক্রবার (১২ মে, ২০২৩ ) নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি ও সাউথ এশিয়া বিজনেস পার্টনারশিপের প্রয়াসে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গিরিধর দে-এর হাতে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন নেপালের সংস্কৃতি,পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী মি. সুদান কেরাতি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোহন বাহাদুর বাসনেত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যামন্ত্রী, প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য প্রাক্তন তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সদস্য, নেপাল। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. গোলাম ফারুক মজনু, পরিচালক, সাউথ এশিয়া বিজনেস পার্টনারশিপ। পুরস্কার বিতরণকালে গিরিধর দে-এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ ও প্রসংশনীয় কাজের নানা প্রশংসা করেন নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী মি. সুদান কেরাতিসহ অন্য অতিথিরা।
পুরস্কার গ্রহণ শেষে গিরিধর দে জানান, এই অর্জন আমার সমগ্র বাংলাদেশবাসীর। আমি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের সকল শুভানুধ্যায়ীকে যাদের প্রচণ্ড শ্রম, উৎসাহ ও একাগ্রতার ফসল এই স্বীকৃতি। ধন্যবাদ জানাই নেপাল সরকার এবং অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে নেপাল-বাংলাদেশ আন্তসম্পর্ক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়িক এবং ট্যুরিজম ক্ষেত্রের উন্নয়নে আমরা এভাবেই একত্রিত হয়ে কাজ করব সেই আশা ব্যক্ত করছি।
গিরিধর দে একজন সমাজকর্মী ও তরুণ গবেষক । দেশব্যাপী বাংলার আবহমান ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম, সংস্কৃতি, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ঐতিহাসিক দলিলাদি সংগ্রহ, চর্চা, গবেষণা, প্রচার, তথ্যবিকৃতিরোধ ও ডিজিটালভাবে সংরক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজও করেন তিনি । তার প্রতিষ্ঠিত প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’ এখন সারা দেশে তুমুল আলোচিত। শুধুমাত্র অনলাইনেই ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। প্রতি সপ্তাহে তাদের পাঠক সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। ঐতিহাসিক দলিলাদি সংগ্রহ ও তথ্যবিকৃতিরোধে ২০১৬ সালে এর যাত্রা। ৬ বছরে যার সংগ্রহ সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। ভবিষ্যতে ডিজিটাল মিউজিয়াম করতে চান তারা ।
গিরিধর দে-এর জন্ম ২ ডিসেম্বর ১৯৯৫ সালের ফরিদপুর জেলায়। পিতা সুধীর কুমার দে ও মা রিনা রানী দে। গিরিধরের শৈশব গ্রামেই কেটেছে। তিনি চাঁদহাট বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও মুকসুদপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর থেকে অতি সম্প্রতি হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে সম্পন্ন করেছেন । তিনি ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ।
দেশব্যাপী ভিন্নধর্মী উদ্যোগ ও দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ সহ নানা সময়ে নানা পদকে ভূষিত হয়েছেন।