মোহাম্মদ মুস্তাকিন
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৪৫ পিএম
'ভাইয়া আইজকাই আমার ঈদ ঈদ লাগতাছে। নতুন পোশাক পাইয়া আমি ভীষণ খুশি'- কথাটি ছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পজিটিভ ঢাকা কর্তৃক পরিচালিত পজিটিভ স্কুলের শিক্ষার্থী কোহিনূর আক্তারের।
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে সবার মাঝে, মুক্ত ঝরা হাসি। কিন্তু সেই ঈদের হাসি পথশিশুদের জীবনে কতটুকু বিদ্যমান। তারা কি আদৌও হাসতে পারে সেই ঈদ ঝলমলে হাসি? এই সময়টাতে সমাজের এক শ্রেণির মানুষ যেখানে পরিবার পরিজনের সঙ্গে শপিং নিয়ে ব্যস্ত, তার ঠিক বিপরীত দিকে আমাদের সমাজের আশেপাশে বেড়ে উঠা পথশিশুরা একবেলা খাবার সংগ্রহের জন্য লড়ে যাচ্ছে নিজের জীবনের সাথে লড়াই। তাদের কাছে আকাশে ঈদের চাঁদটা শুধু দেখতেই সুন্দর।
তাই ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এই সব ছিন্নমূল ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফুটাতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পজিটিভ ঢাকা আয়োজন করে প্রজেক্ট 'পজিটিভ ঢাকার ইদের হাসি'। গত ১৩ই এপ্রিল রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি। এসময় রেলওয়ে স্টেশনে থাকা ৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুসহ দুস্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয় ঈদের পোশাক, লুঙ্গি। স্টেশনে কর্তব্যরত আফজাল হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি একবেলার খাবারের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে সংগঠনটি। এখানে কাজ করার সুবিধার্থে খুব কাছে থেকেই দেখেছি তাদের কার্যক্রম। পরম মমতায় এই পাঠদান কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসনীয়।
মানবিক এই সংগঠনটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রাথমিক ও নৈতিক শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য, অসহায় রুগীর রক্তের ব্যবস্থা, বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবারহ, সাবলম্বিকরণসহ নানা রকম সমাজ কল্যানমূলক কার্য পরিচালনা করছে।
সংগঠনটির সহ প্রতিষ্ঠাতা আলী ইউসুফ ববি বলেন, 'সমাজের দুস্থ অসহায় মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে সংগঠন পজিটিভ ঢাকা। আমাদের এই মানবিক পথ চলায় আমরা পেয়েছি অসাধারণ হৃদয়ের অধিকারী মানুষদের। যাদের পরিশ্রম ও আর্থিক সহায়তায় হাসি ফুটেছে অসংখ্য অসহায় মানুষের মুখে। আমাদের কার্যক্রম দ্বারা হয়ত আমরা সমাজের কিছু অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি তবে সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসে তাহলেই সকলের মুখে আনন্দের হাসি ফোটানো সম্ভব। শুধু প্রয়োজন একটু সদিচ্ছার।'