প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২২ ১৩:০৯ পিএম
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২২ ১৫:২৯ পিএম
হিমালয়ের ‘ডোলমা খাং’ চূড়ায় বাংলাদেশের চার অভিযাত্রী
বাংলাদেশ ও নেপালের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২ নভেম্বর বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় হিমালয়ের ২০ হাজার ৭৭৪ ফুট উঁচু পর্বতশিখর ‘ডোলমা খাং’য়ে আরোহণ করেছেন বাংলাদেশের চার ও নেপালের দুই পর্বতারোহী। ডোলমা খাং পর্বতশিখরটি নেপালের রোল ওয়ালিং উপত্যকার গৌরীশঙ্কর হিমালয় রেঞ্জে অবস্থিত।
ঐতিহাসিক এ সফল অভিযানের বিষয়টি আজ (৪ নভেম্বর) নিশ্চিত করেন অভিযানে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের চার অভিযাত্রীর একজন ইকরামুল হাসান শাকিল। তার ফেসবুক টাইমলাইনে জানান, ‘নেপালে আছি মাস চারেক। অভিযান করছি নেপালের পশ্চিম সীমান্ত থেকে পূর্ব সীমান্ত ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দ্য গ্রেট হিমালয়ান ট্রেইলে। প্রায় অর্ধেক পথ সফলভাবে সম্পূর্ণ করে নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সপিডিশনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথমে দোগারি হিমাল নামে একটি অবিজিত শিখরে অভিযানের উদ্দেশ্যে ১২ অক্টোবর পশ্চিম নেপালের রুকুম জেলার কাংড়ির উদ্দেশে যাত্রা শুরু হয়। কাংড়ি থেকে জিপে তাকসারা পৌঁছে শুরু হয় দোগারি হিমাল বেসক্যাম্পের উদ্দেশে ট্রেকিং। ১৫ হাজার ৯২ ফুট উঁচু নিমকুণ্ড ফুলগাড়ি নামের একটি উপত্যকায় ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। সাধারণত এ ধরনের জায়গা ঘাসে আবৃত থাকে। কিন্তু সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবরের শুরু পর্যন্ত নেপাল হিমালয়ে ভারী তুষারপাতের কারণে ৩-৪ ফুট উঁচু বরফ জমে ছিল। দুই দিন সেখানে অবস্থান করে বেসক্যাম্পের খোঁজে আরও ওপরে যাওয়ার চেষ্ট করি।’
‘৫ হাজার মিটারের কাছাকাছি পৌঁছে ৭-৮ ফুট উঁচু বরফের কারণে আর সামনে এগোনো সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে আবার তুষারপাত শুরু হয়। সব দিক বিবেচনা করে দোগারি হিমাল অভিযান পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ২৪ অক্টোবর কাঠমান্ডু ফিরে আসি।’
অভিযান আয়োজনকারী সংস্থা ইমাজিন নেপালের কর্ণধার বিখ্যাত পর্বতারোহী মিংমা গ্যালজে শেরপার সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ অভিযানটি পুনরায় ডোলমা খাং শিখরে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশের চার পর্বতারোহী—এম এ মুহিত, বাহলুল মজনু, ইকরামুল হাসান ও রিয়াসাদ সানভী এবং নেপালের দুই পর্বতারোহী—কিলু পেম্বা শেরপা ও নিমা নুরু শেরপা অভিযানে অংশ নেন। এর মাধ্যমেই দ্বিতীয় ৬ হাজার মিটারের পর্বতশিখর আরোহণ সফল হয়।
উল্লেখ্য, অভিযানটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব ও ইমাজিন নেপাল। পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ইস্পাহানি টি, স্কয়ার টয়লেট্রিজ ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।