ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২২ ১৪:৪১ পিএম
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৪৮ পিএম
ছবি : দূরবর্তী দুটি গাছ বা শক্ত খুঁটির দুই প্রান্তে দড়ি দিয়ে হ্যামক টানানো হয়।
ক্যাম্পিং কিংবা ট্রেকিং, ট্রাভেলারদের কাছে হ্যামক এখন অতি পরিচিত এক নাম। দূরবর্তী দুটি গাছ বা শক্ত খুঁটির দুই প্রান্তে দড়ি দিয়ে হ্যামক টানানো হয়। হ্যামক তৈরি হয় কাপড়, নেট অথবা দড়ি দিয়ে। গবেষণায় জানা গেছে, বিছানার চেয়ে হ্যামকের হালকা দুলুনিতে একজন পূর্ণবয়সি ব্যক্তির ঘুম গভীর হয়।
হ্যামক শব্দটি সবার কাছে খুব বেশি পরিচিত নয়। যারা নিয়মিত বনজঙ্গল-পাহাড়ে ঘুরতে যান তাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত এবং প্রিয় একটি নাম হ্যামক। আধুনিক হ্যামক আকারে ছোট, ওজনে হালকা, ব্যাগের কোণে রাখা যায় সহজেই। এ জিনিসটি সঙ্গে থাকলে ট্রেকিং-হাইকিংয়ের সময় কোথাও আরাম করে সময় কাটানো অত্যন্ত সহজ। জিনিসটি সেটআপ করা কয়েক মিনিটের ব্যাপার।
কেনার আগে খেয়াল করুন :
কাপড়ের হ্যামক হলে দেখতে হবে ওয়েদারপ্রুফ বা সব আবহাওয়ায় ব্যবহারোপযোগী কি না। ডাবল লেয়ার বা দুই স্তরের কাপড়ের হ্যামক বেশি টেকসই হয়। ম্যানিলা রোপ বা দড়ির হ্যামক হলে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন বেশি চিকন ও শক্ত না হয়। সাধারণত একজন থেকে শুরু করে দু-তিন জনের ব্যবহারোপযোগী হ্যামকও পাওয়া যায়। ১১০ থেকে ২৭০ কেজি পর্যন্ত ধারণক্ষমতা থাকে এগুলোর। দৈর্ঘ্যে ৬ থেকে ১১ ফুট, প্রস্থে ৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। যত উঁচু স্থান থেকে হ্যামক টানানো যাবে ততই ভালো। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, দুই প্রান্তের উচ্চতা যেন সমান হয়। মাটি থেকে ৩০ ডিগ্রি কোণে হ্যামক টানানো উচিত।
হ্যামক প্রস্তুতকারক : অনেক প্রতিষ্ঠান আছে; এর মধ্যে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক, হেনসি, হ্যামকব্লিস, ঈগলস নেস্ট ও ওয়ারবনেট উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের হ্যামক পাওয়া যায়। খাঁটি বাংলাদেশি পণ্য হলো পাটের দড়ি দিয়ে বানানো হ্যামক, যেগুলো বাসাবাড়ির বারান্দায় বেশি মানায়। এ ছাড়া নাইলনের দড়ি দিয়ে বানানো জিনিসও পাওয়া যায়। সমুদ্রসৈকতেও দড়ির হ্যামক জনপ্রিয়।
এগুলো ঘরবাড়ি সাজানোর দোকানে পাওয়া যায়। মূলত বাসাবাড়িতে ব্যবহারের জন্যই তৈরি। দাম ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা। সত্যিকার আউটডোর হ্যামক প্যারাসুট কাপড়ে তৈরি। এগুলো পাবেন দেশের অ্যাডভেঞ্চার শপগুলোয়। বাংলাদেশি কিছু ব্র্যান্ডও আছে বর্তমানে। দেশি-বিদেশি সব হ্যামকই ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায় পেয়ে যাবেন। তবে বিশেষায়িত হলে দাম বাড়তে পারে।
কোথায় পাবেন : ভ্রমণোপযোগী পণ্য পাওয়া যায় এমন দোকানগুলো হলো— ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের কাঁটাবনে কনকর্ড ইম্পোরিয়ামের বেসমেন্টে ‘ভ্রমণসঙ্গী’, গ্রিন রোডের ‘অ্যাডভেঞ্চার শপ’, আজিজ সুপার মার্কেটের ‘পিকসিক্সটি নাইন ডটকম’, ঢাকা সিটি কলেজের পাশে হ্যাপি আর্কেডের নিচতলায় ‘সাংগ্রিয়া শপ’, কাকরাইলে ‘উলফপ্যাক’, পল্টন মোড়ের ট্রপিকাল ট্রপিকানা টাওয়ারে ‘থ্রিসিক্সটি ডিগ্রি অ্যাডভেঞ্চার অ্যান্ড আউটডোর গিয়ার’। এর প্রতিটিরই রয়েছে আলাদা ফেসবুক পেজ। যেখান থেকে জানা যাবে তাদের পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ ও দরদাম। এ ছাড়া দারাজ ও আজকেরডিল অনলাইন শপ থেকেও অর্ডার করে নিতে পারেন হ্যামক।
প্রবা/জিকে /জেও