× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

একদিনেই ঘুরে আসুন মুন্সীগঞ্জের সেরা ৪ স্থান

গোলাম কিবরিয়া

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:৫৪ পিএম

আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:১৭ পিএম

ঢাকার খুব কাছেই মুন্সীগঞ্জে রয়েছে ঐতিহাসিক বেশ কিছু নিদর্শন

ঢাকার খুব কাছেই মুন্সীগঞ্জে রয়েছে ঐতিহাসিক বেশ কিছু নিদর্শন

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতেই রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান। একদিনে ঘুরে এসে তুলে ধরছি স্বল্পদূরত্বে মুন্সীগঞ্জের কোথায় ঘুরে আসা যায়।

ইদ্রাকপুর কেল্লা

মুন্সীগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে ইদ্রাকপুর কেল্লা অবস্থিত। মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে সেনাপতি ও বাংলার সুবেদার মীর জুমলা কর্তৃক ১৬৬০ সালে বিক্রমপুরের এই অঞ্চলে ইদ্রাকপুর কেল্লা নামে এই দুর্গ নির্মিত হয়। সে সময় মগ জলদস্যু ও পর্তুগিজদের আক্রমণ থেকে এলাকাকে রক্ষা করার জন্য দুর্গটি নির্মিত হয়।

ইদ্রাকপুর কেল্লা

জনশ্রুতি আছে, এ দুর্গের সঙ্গে ঢাকার লালবাগের দুর্গের সুড়ঙ্গপথে যোগাযোগ ছিল। শত্রুদের উদ্দেশে গোলা নিক্ষেপের জন্য দুর্গটির দেয়ালে অসংখ্য ছিদ্র রয়েছে। প্রাচীরঘেরা এই দুর্গের চার কোণায় রয়েছে একটি করে গোলাকার বেষ্টনী। এই দুর্গটি পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষিত হয়। বহু উচ্চ প্রাচীরবেষ্টিত এই গোলাকার দুর্গটি এলাকায় এসডিও কুঠি হিসেবে পরিচিত।

মুন্সীগঞ্জ সদরের কাছে পুরাতন কোর্ট অফিস সংলগ্ন। ঢাকার গুলিস্তান থেকে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট বা দীঘিরপাড় ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে মুক্তারপুর আসা যায়। মুক্তারপুর থেকে অটোরিকশায় ১০ টাকা জনপ্রতি বা রিকশায় ২০-২৫ টাকায় ইদ্রাকপুরের কেল্লায় যাওয়া যায়। এ ছাড়া সদরে নেমে অটোরিকশাচালককে ইদ্রাকপুরের কথা বললেই নিয়ে যাবে।

মোল্লার চর

প্রথমে ইদ্রাকপুর দুর্গ ঘুরে দেখলাম আমরা। তারপর চিন্তা এলো নদীর পাড় যাব। অটোরিকশাচালক বললেন, মোল্লার চর যেতে পারেন। ব্যাস ইদ্রাকপুর থেকে মোল্লার চর যাত্রা শুরু। অটোতে করে দু’জন মাত্র ২০ টাকা দিয়ে মোল্লার চরের কাছাকাছি এসে নামলাম। এরপর বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে মোল্লাবাড়ির বাজারের ভেতরের গলি ধরে এগিয়ে চলা। একটু পরেই প্রকৃতির অনন্য রূপ নজরে এলো। সড়কের দু’ধার ধরে বেশ গাছ। একটু এগোলে দূরে তাকালেই চোখে পড়ে নদী। জায়গাটির আসল নাম চর কিশোরগঞ্জ, মোল্লার বাড়ি। স্থানীয়রা ডাকেন মোল্লার চর বলে। খানিক বাদেই দেখা মিলল দুটি রেস্টুরেন্ট।

মোল্লার চর

এ পরিবেশে চা না খেলে হয়! অসাধারণ এক পরিবেশে কাটিয়ে দিলাম বেশ খানিকটা সময়। রেস্টুরেন্টের বাইরের পরিবেশে কফি খেতে খেতে নদীর কলতান উপভোগ করলাম। নদীর ঢেউ পাড়ে আছড়ে পড়া দেখে মনে হবে শান্ত সমুদ্রের উদাস করা ঢেউ। যে কেউ চাইলেই স্বল্প সময়ের দূরত্বের এ জায়গাটি ঘুরে আসতে পারেন। প্রথমে ইদ্রাকপুর ঘুরে সেখান থেকেই মোল্লার চরের কথা বললে অটোরিকশা নিয়ে যাবে সেখানে। ভাড়া ২০ টাকা।

অতীশ দীপঙ্করের বাস্তুভিটা

অতীশ দীপঙ্করের বাস্তুভিটা

মোল্লার চর ঘুরে আমরা রওনা দিলাম অটোতে প্রখ্যাত পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্করের বাস্তুভিটা দেখতে। শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর হলেন একজন প্রখ্যাত পণ্ডিত, যিনি পাল সাম্রাজ্যের আমলে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বৌদ্ধধর্ম প্রচারক ছিলেন। তিনি ৯৮২ খ্রিস্টাব্দে বিক্রমপুর পরগনার বজ্রযোগিনী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এটি বর্তমানে বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত। তার জন্মস্থানের বাস্তুভিটাকে এখনও স্থানীয় জনগণ ‘পণ্ডিতের ভিটা’ বলে অভিহিত করে। জ্রযোগিনীতে ৫২ ফুট উঁচু একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে। পাশেই রয়েছে ২১ ফুট কোণাকৃতির প্রাচীন স্মৃতিমন্দির। পাশাপাশি স্মৃতিফলকের খুব কাছেই নির্মাণ করা হয়েছে অতীশ দীপঙ্কর পাবলিক অডিটোরিয়াম।

বিক্রমপুর বৌদ্ধবিহার, রঘুরামপুর

নাটেশ্বর ঘুরে রঘুরামপুরে অবস্থিত বিক্রমপুর বৌদ্ধবিহার দেখতে যেতে পারেন। বিক্রমপুর বিহার বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের অন্তর্গত রঘুরামপুর গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাচীন বৌদ্ধবিহার। এটি মহারাজ ধর্মপালের শাসনামলে নির্মিত ৩০টি উল্লেখযোগ্য বিহারের মধ্যে অন্যতম। ধর্মপাল ছিলেন পাল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট।

বিক্রমপুর বৌদ্ধবিহার

ঐতিহাসিকভাবে এই মঠটি অতীশ দীপঙ্করের সঙ্গে সম্পর্কিত, যিনি তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। অতীশ দীপঙ্করের জীবদ্দশায় এই অঞ্চলটি ছিল বৌদ্ধধর্ম শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু এবং চীন, তিব্বত, নেপাল ও থাইল্যান্ডের মতো দূরবর্তী অঞ্চল থেকেও প্রায় আট হাজার অধ্যয়নকারী ও অধ্যাপক এখানে অধ্যাপনা করতে আসতেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা