প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৪ ২২:৩৪ পিএম
আপডেট : ১৮ মে ২০২৪ ২২:৪৮ পিএম
প্রতীকী ছবি
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নারীরা ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছেন। ইন্টারনেট ব্যবহারে নারীদের পিছিয়ে থাকার বড় কারণ শিক্ষা ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাব। এছাড়া সামর্থ্য না থাকাও বড় একটি কারণ।
মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। চলতি মাসে ‘দ্য মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনা বলা বলেছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ফোনে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে বাংলাদেশের নারী ও পুরুষের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি; ৪০ শতাংশ। ৫০ শতাংশ নারী ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে জানেন। কিন্তু তারা ব্যবহার করেন না।
জিএসএমএ বলছে, বাংলাদেশে ৮৫ শতাংশ পুরুষ ও ৬৮ শতাংশ নারীর কাছে ব্যক্তিগত ফোন আছে। ফোনের মালিকানায় নারী ও পুরুষের ব্যবধান ২০ শতাংশের কাছাকাছি। অনেক নারী অন্যের ফোন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আবার স্মার্টফোন আছে এমন নারীদের অনেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না।
জিএসএমএর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ পুরুষ ও ২৪ শতাংশ নারী ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়ে জানেন ৩৭ শতাংশ পুরুষ। নারীর মধ্যে এ হার ২১ শতাংশ।
তবে জিএসএমএ বলছে, দেশে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নারীর ৫৩ শতাংশ ও পুরুষের ৪৬ শতাংশ আরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান। ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। যেমন ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে মানুষের মধ্যে কম সচেতনতা, মুঠোফোন সহজলভ্য না হওয়া, শিক্ষার হার ও ডিজিটাল দক্ষতা কম থাকা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারে বড় বাধা হিসেবে সামর্থ্যের বিষয়টিও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ২৪ শতাংশ নারী এবং ১৫ শতাংশ পুরুষ প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ডাটা প্যাকেজের বাড়তি দামের বিষয়টি চিহ্নিত করেছেন। নারী ও পুরুষ উভয়ই অনলাইন কল, ভিডিও কল এবং অনলাইনে বিনোদনের জন্য ফোনে ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করেন।
সূত্র : জিএসএমএ