প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪৪ এএম
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৫০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
দেশে ইন্টারনেট সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হতে আরও তিন থেকে সাত দিন অপেক্ষায় থাকতে হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাহিদার ৩০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ দিতে পারছে না ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি)। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ইন্দোনেশিয়ার কাছে গভীর সমুদ্রে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এই সংকট।
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ এ বিষয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকালে বলেছেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। সমুদ্রের নিচ দিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে ইন্দোনেশিয়ার দিকে যে সংযোগ, ইন্দোনেশিয়ার কাছে এটা কাটা পড়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি আমরা টের পেয়েছি। ফলে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল থেকে কোনো ব্যান্ডউইথ আমরা পাচ্ছি না। শুধু আমরা না, এর ফলে শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়াসহ এই কেবলের সঙ্গে যেসব দেশ যুক্ত, সেসব দেশেরও একই অবস্থা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কক্সবাজারের সাবমেরিন লাইনটি সম্পূর্ণ চালু রয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে প্রথম সাবমেরিন কেবলের ব্যান্ডউইথের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে এবং দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের কিছু ট্রাফিক সিঙ্গাপুরের সিংটেলের সঙ্গে শিফট করে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করি, দুয়েক দিনের মধ্যে ইন্টারনেটে ধীরগতির সমস্যা কিছুটা দূর হবে।’ কেবল মেরামতে কতদিন লাগতে পারে- উত্তরে তিনি বলেন, কনসোর্টিয়াম থেকে ঘটনাস্থলে জাহাজ যাওয়ার পর একটি প্রোগ্রাম শিডিউল প্রস্তুত করবে। তখন ধারণা পাওয়া যাবে কতদিন সময় লাগবে। তবে মনে হচ্ছে কমপক্ষে এক সপ্তাহ লাগবে।’
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, বর্তমানে দেশের চাহিদা সাড়ে পাঁচ হাজার ব্যান্ডউইথ। চাহিদা বিপরীতে দুটি সাবমেরিন কেবল থেকে আসে ২ হাজার ৬০০ ব্যান্ডউইথ। এর মধ্যে ১ হাজার ৬০০ আসত কাটা পড়া কেবল থেকে। বাকিটার জন্য নির্ভর করতে হয় আইটিসির (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল) মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানির ওপর।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক এ সমস্যা সম্পর্কে বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১১টা থেকে ইন্টারনেটের ধীরগতি শুরু হয়েছে। আইআইজি অপারেটররা চাহিদার ৩০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ দিতে পারছে না। বিএসসি এখনও আমাদের সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেনি কবে নাগাদ সমস্যার সমাধান হবে। তবে মনে হচ্ছে তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত এ সমস্যা থাকতে পারে।