নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২২ ১৪:২২ পিএম
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২২ ১৭:৪৮ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় টেলিটকের ফাইভজি প্রকল্প স্থগিত ও টেলিটকের ফোরজি সেবার আওতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যয় সংকোচনের জন্যই প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন একনেক সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মনে করেন টেলিটকের ফাইভজি প্রকল্প এখনই দরকার নেই। বাংলাদেশের সব জায়গায় আগে ফোরজি সেবা নিশ্চিত করা দরকার। শুধু টেলিটককে নয়, সব মোবাইল অপারেটরকে বলেছেন ফোরজির আওতা বাড়াতে।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘যেহেতু সরকার কৃচ্ছতা সাধন করছে এবং টেলিটকের ফাইভজি প্রকল্পের বড় অংশই আমদানি নির্ভর। তাই ডলার ব্যবহারের ওপর চাপ কমাতেই প্রকল্পটি বাদ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপাতত দেশে ফাইভজি কাভারেজের চেয়ে ফোরজির পরিধি বাড়ানো জরুরি। সেই আঙ্গিকে মোবাইল অপারেটরদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
একনেক সভায় সার্বিকভাবে বিদেশি ঋণের প্রকল্পের পরিধি কমবে কি না সে বিষয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।
সভায় হাজার ২ হাজার ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতটি প্রকল্প অনুমোদন হয়।
টেলিটকের ফাইভজি প্রকল্প
রাজধানীতে সীমিত আকারে টেলিটকের ফাইভজি সেবা চালুর পরিকল্পনা করে অপারেটরটি। এ জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়। লক্ষ্য, অন্য মোবাইল অপারেটরদের একই ধরনের সেবা শুরুতে উদ্বুদ্ধ করা। এ সংক্রান্ত ২৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প উপস্থাপন করা হয় একনেক সভায়। বাস্তবায়ন শেষ হবার কথা ছিল ২০২৩ সালে।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, টেলিটকের মাধ্যমে রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনা ফাইভজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার চিন্তা ছিল। এ জন্য মেট্রোপলিটন এলাকার ২০০টি ফোরজি বিটিএস সাইটে নতুন ডিভাইস সংযোজন করারও চিন্তা করা হয়। ফাইভজি প্রযুক্তির যন্ত্রাংশের দাম বেশি হওয়ায় ধাপে ধাপে এর পরিধি বাড়াতে চায় টেলিটক।
প্রবা/রাই