প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪ ১৭:২২ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫১ পিএম
অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ছবি : সংগৃহীত
মানুষের জীবনকে সহজ করতেই তথ্য-প্রযুক্তির উত্থান। তা করল বটে! কিন্তু কেড়ে নিল তরুণ প্রজন্মের শান্তি। শুধু তরুণ প্রজন্মই না, বর্তমানে এক বছরের শিশু থেকে নিয়ে অশীতিপরদের বড় একটা অংশ স্মার্টফোনে আসক্ত। এটা দিয়ে তারা নানা সমাজ ও বিনোদনমাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাচ্ছে। ফলে তারা মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের ওপর ডিজিটাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে করা এক জরিপে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চারজন কিশোর-কিশোরীর মধ্যে তিনজনই তাদের সঙ্গে যতক্ষণ স্মার্টফোন থাকে না ততক্ষণ শান্তিতে বা সুখে থাকে।
সোমবার (১১ মার্চ) প্রকাশিত পিউ রিসার্চ সেন্টারের ওই জরিপে দেখা গেছে, স্মার্টফোন দূরে রাখার বিষয়ে অধিকাংশ কিশোর- কিশোরীই ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। কিন্তু স্মার্টফোন বা সমাজমাধ্যম ব্যবহার করা যায় এ রকম অন্য ডিভাইসের ব্যবহার কমিয়েছে মাত্র ৩৬ শতাংশ কিশোর-কিশোরী।
সামগ্রিকভাবে ৩৮ শতাংশ কিশোর-কিশোরী স্মার্টফোনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করার কথা জানিয়েছে। ৫১ শতাংশ নিজেদের স্মার্টফোনের পেছনে ব্যয় করা সময়ের পরিমাণকে ‘প্রায় সঠিক’ মনে করে। কিশোরদের চেয়ে কিশোরীরা স্মার্টফোনে অতিরিক্ত সময় কাটানোর কথা জানিয়েছে।
কিশোর-কিশোরীরা সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রায় একইরকম অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছে। ৩০ শতাংশ জানিয়েছে তারা ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে। ২৭ শতাংশ জানিয়েছে তারা অতিরিক্ত ব্যবহার করে।
সামাজিক দক্ষতা শিখার ক্ষেত্রে স্মার্টফোনকে বাধা মনে করে ৪২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী। অন্যদিকে ৩০ শতাংশের মতে স্মার্টফোন তাদের সামাজিক দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করেছে।
জরিপটিতে আরও উঠে এসেছে, স্মার্টফোন কাছে না থাকলে কিশোর-কিশোরীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নেতিবাচক আবেগে আক্রান্ত হয়।
১০ জনের মধ্যে চারজন কিশোর-কিশোরী জানিয়েছে তাদের কাছে স্মার্টফোন না থাকলে তারা মাঝে মাঝে হলেও উদ্বিগ্ন, বিচলিত বা একাকীত্ব বোধ করে।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এটি কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ও ফ্লোরিডা রাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও কানাডা আইন করেছে।
সূত্র : আলজাজিরা