প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪ ১৬:১০ পিএম
দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাণিজ্যিক সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের কার্য নির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ মার্চ। ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটাররাও নিখুঁত হিসাব কষতে শুরু করেছেন পরবর্তী অভিভাবক নির্বাচন নিয়ে। ১৩ সদস্যের এই কমিটিতে মোট প্রার্থী হয়েছেন ২৫ জন।
ভোটকে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে যেনো ভোটের বুথে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ রাখা হয় সেজন্য নির্বাচন কশিন ও ডিটিও-তে ভোটারদের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার ভোটকে প্রভাবিত করা ও ভোটারদের গোপনীয়তা অক্ষুন্ন রাখতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
কমিটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে এই কাজ পরিচালনা করছেন এক্সেল টেকনোলজিস লিমিটেডের পরিচালক বীরেন্দ্রনাথ অধিকারী এবং অ্যাসোসিওর আজীবন চেয়ারম্যান ও জেএএন অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ এইচ কাফি। নির্বাচনী আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং সামিয়া ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও এফবিসিসিআই পরিচালক হাফেজ হারুন এবং ন্যাশনাল পিভিস পাইপ প্রোডাক্টর স্বত্বাধিকারী মো. আবুল খায়ের দায়িত্ব পালন করছেন।
ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে আইএসপিএবি নির্বাচন বোর্ড সদস্য আব্দুল্লাহ এইচ কাফি বলেছেন, বুথের ভেতর কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে পারবে না। কাউকেই এ বিষয়ে ছাড় দেয়া হবে না। এটা কঠোর ভাবে প্রতিপালন করা হবে। তবে শুধু নির্বাচন কমিশনই নয়; নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়; সে জন্য ২৫ জন প্রার্থীকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আইএসপিএবি’র প্রাক্তন সভাপতি আমিনুল হাকিম। তিনি বলেছেন, ভোটের গোপনীয়তা, ভোটারদের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সময় গুজব বন্ধ রাখতে ভোটারদের বুথে মোবাইল নেয়া থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি প্রার্থীদেরও আচরণ বিধি মেনে চলা উচিত হবে। আমরা চাই, দুই বছর পর পর এই নির্বাচন যেন উৎসব মুখর ও প্রতিযোগিতা পূর্ণ হয়।
ভোট বুথে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ে ট্রেড বডির বিভিন্ন নির্বাচনে কমিশনে দায়িত্বপালনকারী বিসিএস এর সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর প্রাক্তন উপদেষ্টা পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবীর মনে করেন, বুথে মোবাইল ফোন নেয়া অবশ্যই ঠিক না। এটা ভোট কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে। ভোটারের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যালটের গোপনীয়তা ঝুঁকিতে ফেলে। এ ধরনের সুযোগ ভোটারের ওপর কুপ্রভাব ফেলে। এজন্য এফবিসিসিআই নির্বাচনের মতো কেন্দ্রে ‘টোকেন’ ব্যবস্থাপর মাধ্যমে ভোটারের ফোন জমা রেখে তারপর বুথে প্রবেশের নিয়ম করার পরামর্শ দেন তিনি। এর আগে নির্বাচন কমিশনকে দেয়া চিঠিতে ভোট কেন্দ্রে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর স্থাপন এবং মোবাইল ফোন নিয়ে বুথে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি লিখিত আবেদন করেন প্রার্থীরা।
দুই ক্যাটাগরির আইএসপিএবি কার্য নির্বাহী কমিটির ভোটে এগিয়ে আছেন সহযোগী সদস্যরা। তাদের জন্য নির্ধারিত ৪ পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১১ জন। এদের মধ্য থেকেই যোগ্যদের বেছে নিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৭৫৬ ভোটার। আর কেন্দ্রীয় ভূমিকায় থাকা সাধারণ ক্যাটাগরিতে ৯ পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। এক্ষেত্রে ভোটার ২৫০ জন।
প্রসঙ্গত, আইএসপিএবি’র ওয়েব সাইটের তথ্য অনুযায়ী, সংগঠনটিতে ৩৯৯ জন সাধারণ এবং ১৬০৪ জন সহযোগী সদস্য রয়েছেন। আগামী ১৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনসন সেন্টারে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। ভোট গ্রহণ শেষে সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত সাধারণ ক্যাটাগরি থেকে ৯ জন ও সহযোগী ক্যাটাগরি থেকে ৪ জন, মোট ১৩ জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। পরবর্তীতে আগামী ১৮ মার্চ (রবিবার) নির্বাচিত এই ১৩ জন তাদের মধ্য হতে কার্যনির্বাহী পরিষদের (ইসি) পদ বণ্টনের নির্বাচন করবেন।
সাধারণ ক্যাটাগরিতে ৯ পদের প্রার্থীরা হলেন-আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেডের সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, রেড ডাটা (প্রা:) লিমিটেডের মঈন উদ্দিন আহমেদ, এক্সোর্ড অনলাইনের সাব্বির আহমেদ, বাংলানেট টেকনলোজিস লিঃ এর মোঃ জোবায়ের আল মাহমুদ হোসাইন, ঢাকা টেক আইটি লিমিটেড এর আশরাফ উদ্দিন, অপটিম্যাক্স কমিউনিকেশনের মো. ইমদাদুল হক, কে এস নেটওয়ার্কের নাজমুল করিম ভূঁইয়া, চিটাগাং টেলিকম সার্ভিসের মো. আনোয়ারুল আজিম, ইউনিফাইড কোরের এস এম জাকির হোসাইন, বিসিএল অনলাইন সার্ভিসের এ এম কামাল উদ্দীন আহমেদ সেলিম, ইনফোলিংকের সাকিফ আহমেদ, ট্রায়াঙ্গাল সার্ভিসেসের মোহাম্মদ এ কাইউম রাশেদ, অন্তরঙ্গ ডট কমের মো. আসাদুজ্জামান এবং সার্কেল নেটওয়ার্কের মাহবুব আলম।