প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২২ ১২:১২ পিএম
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৪৬ পিএম
বাইন্যান্সের সিইও চ্যাংপ্যাং ঝাও। ছবি : সংগৃহীত
ইলন মাস্কের টুইটার কেনার প্রকল্পে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফরম বাইন্যান্সেরও বিনিয়োগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণে ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে।
বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-কেন্দ্রিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর কমছে। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার মতো কমেছে টুইটারের দরও। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক নানা কারণে ক্রিপ্টো কোম্পানিগুলোর দামও কমছে। এমন পরিস্থিতিতেও কেন বাইন্যান্স টুইটারে বিনিয়োগ করছে, তা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও চ্যাংপ্যাং ঝাও। যিনি সিজে নামেও পরিচিত।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে ইউরোপের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি সম্মেলন দ্য ওয়েব সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিজে বলেছেন, টুইটারে বিনিয়োগের শক্ত কিছু কারণ ছিল।
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে এক নম্বরে আমরা বাকস্বাধীনতার কট্টর সমর্থনকারী হতে চাই। টুইটারেই মানুষ তার মতামত প্রকাশ করে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাকস্বাধীনতার প্ল্যাটফরম। এটিই প্রধান কারণ।’
ভ্যারিফায়েড প্রোফাইল অর্থাৎ ব্লু টিকের জন্য ইলন মাস্ক ৮ ডলারের যে মাসিক চার্জ ঘোষণা করেছেন তার প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন সিজে।
বাকস্বাধীনতার কথা শুরু থেকে বলে আসছেন মাস্কও। অর্থ আয়ের জন্য টুইটার কিনছেন না তিনি। তার লক্ষ্য বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা। টুইটারকে তিনি এমন এক প্ল্যাটফরম বানাতে চান যেখানে ইলন মাস্কেরও সমালোচনা করা যাবে।
তবে মাস্ক টুইটার নিয়ে কী করতে যাচ্ছেন, তার খুব একটা ধারণা নেই সিজেরও। তিনি নিজেও তা স্বীকার করেছেন। টুইটার নিয়ে ইলন মাস্ক কী করতে যাচ্ছেন তা অনুমান করা কঠিন।
টুইটারে সিজের অনুসারীর সংখ্যা ৭০ লাখের বেশি।
প্রযুক্তি সম্মেলনে সিজে বাকস্বাধীনতার কথা বললেও গত সপ্তাহেই বাইন্যান্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কীভাবে ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টো টুইটারের জন্য সহায়ক হতে পারে তা নিয়ে কাজ করার জন্য বাইন্যান্স একটি টিম তৈরি করছে।
বাইন্যান্সের মতো ছোট ছোট সহবিনিয়োগকারীরাও মাস্কের কথায় টুইটারে বিনিয়োগ করেছেন। যদিও ভবিষ্যতে টুইটারে ছোট বিনিয়োগকারীরা কতটা সক্রিয়ভাবে জড়িত হতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
টুইটার কেনার পরই প্রতিষ্ঠানটিতে নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেছেন মাস্ক। এরই মধ্যে টুইটার পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠানটি থেকে বের করে দিয়েছেন এর সাবেক চেয়ারম্যান ব্রেট টেলর, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরাগ আগারওয়ালকে। বহিষ্কার করেছেন প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সিগাল এবং আইন ও নীতিমালা বিষয়ক প্রধান বিজয়া গাড্ডে।
বাইন্যান্সের পাশাপাশি সেকোইয়া ক্যাপিটাল, ফিডেলিটি ম্যানেজমেন্ট, অ্যান্ড্রেসেন হোরোভিটজ ও ব্রুকফিল্ডের মতো প্রতিষ্ঠানও টুইটারে বিনিয়োগ করেছে।
গত শুক্রবার ৪৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইলন মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণ করেন। এর পরই তিনি টুইটারে নিজের বিষয়ে লেখেন ‘চিফ টুইট’ (টুইটারপ্রধান)। এপ্রিল থেকে ইলনের টুইটার কেনার বিষয়ে প্রযুক্তিজগতে আলোচনা চলছিল। তবে মাঝে কিছু সময় টুইটারে বট প্রোফাইল (ফেইক অ্যাকাউন্ট) থাকার অভিযোগ এনে চুক্তি স্থগিত করেছিলেন তিনি।