প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১০ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১১ পিএম
টিকটকের সিইও শো জি চিউ (সর্ব বাঁয়ে), এক্সর সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো এবং মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে। ছবি : সংগৃহীত
ফেসবুক, এক্স এবং টিকটকের মতো জনপ্রিয় সামাজিক ও বিনোদন মাধ্যমগুলোতে অপ্রাপ্ত বয়স্করা নানা ধরনের হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তাই এসব কোম্পানির কর্ণধার ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের ডেকেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সিনেটে কয়েক ঘণ্টার শুনানিতে তাদের তুলোধুনো করেছেন অভিভাবক ও আইনপ্রণেতারা।
শুনানিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে শিশুসন্তানেরা ক্ষতির শিকার হয়েছে, অভিভাবকদের এমন অভিযোগের মুখে ক্ষমা চেয়েছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে যা হয়েছে, কারও এর মধ্য দিয়ে যাওয়া উচিত নয়।
সিনেটরদের অভিযোগ, বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো অনলাইনে যৌন হয়রানি থেকে শিশুদের রক্ষায় যথেষ্ট কাজ করছে না। তারা আরও কঠোর আইন আনতে চাইছেন। পাশাপাশি, এখন পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপ বিষয়ে নির্বাহীদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা দাবি করেন তাঁরা।
শুনানিতে সিনেটের হুইপ ডিক ডারবিন বলেন, আমাদের শিশুরা অনলাইনে যেসব বিপদের সম্মুখীন হয় এ জন্য তাঁরা দায়ী।
সি সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম জাকারবার্গকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার পণ্য মানুষকে হত্যা করছে।
টিকটকের সিইওর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর কোম্পানি মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য চীন সরকারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছে কি না? জবাবে শাও জি চিউ এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
শাও জি চিউ বলেন, আমার নিজেরও তিনটি শিশুসন্তান রয়েছে। বাবা হিসেবে আমি বুঝতে পারি, আমরা আজকে যা নিয়ে আলোচনায় বসেছি, তা একটি পরিবারের জন্য ভয়ংকর এবং প্রতিটা মা-বাবার জন্য দুঃস্বপ্নের।
বুধবারের শুনানিতে মেটা ও টিকটক ছাড়া এক্স, ডিসকর্ড, ও স্ন্যাপচ্যাট সিইওরা অংশ নেন।
সূত্র : আলজাজিরা