প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:১৮ পিএম
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:০১ পিএম
নেপাল সরকার ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট ও পারিবারিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগে দেশটি এমনটি করতে যাচ্ছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) নেপালের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রেখা শর্মা এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
রেখা শর্মা বলেন, টিকটক আমাদের পারিবারিক কাঠামোকে ব্যাহত করছে। নষ্ট করছে সামাজিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি। তাই প্ল্যাটফর্মটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো টিকটক নিষিদ্ধ করার জন্য টেকনিক্যাল বিষয়গুলো দেখছেন।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকটকের বিরুদ্ধে পারিবাকি কাঠামো ব্যাহত, সামাজিক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ আনা হলেও তা ব্যাখ্যা করেননি নেপালের মন্ত্রী। তা ছাড়া কোনো গবেষণার ভিত্তিতে নেপাল সরকার এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে কি না, তাও তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বন্ধ করার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মাথায় নিষিদ্ধের বিষয়টি নিয়ে টিকটকে কয়েক হাজার ভিডিও বানানো হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীরা সরকারের টিকটক নিষিদ্ধের সমালোচনা করছেন।
নেপাল কংগ্রেস পার্টির নেতা গগন থাপা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার ঠেকানোর জন্য বিধি-বিধান দরকার। কিন্তু তাই বলে নিয়ন্ত্রণের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া সম্পূর্ণ ভুল। সরকার এর মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করছে।
জানা যায়, টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান চীনের বাইটড্যান্স। কিন্তু এটির মূল সদরদপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। এটি বিশ্বের ষষ্ঠ জনপ্রিয় সামাজিকমাধ্যম। বিশ্বে মাসে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করে।
টিকটকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চীন সরকারের সঙ্গে এটার সম্পর্ক আছে। তাদের ব্যবহারকারীর তথ্য চীন সরকারের হাতে যায়। কিন্তু এ ধরনের অভিযোগ একাধিকবার অস্বীকার করেছে বাইটড্যান্স। কিন্তু যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যে টিকটক ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ইনস্টাগ্রামের দৈনিক ব্যবহারকারী এখনও টিকটকের চেয়ে বেশি। কিন্তু তরুণদের মধ্যে টিকটকের ব্যবহার দিনে দিনে বাড়ছে।
সূত্র : গার্ডিয়ান