প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩৮ পিএম
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:১২ পিএম
টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। ছবি : সংগৃহীত
টুইটার তখনও কেনা হয়ে ওঠেনি মাস্কের। আলোচনার এক পর্যায়ে এক নৈশভোজে কোম্পানিটির সেসময়ের সিইও পরাগ আগারওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল ধনকুবের ইলন মাস্কের। ওই সময়ই মাস্ক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পরাগকে দিয়ে আর যাই হোক পরিচালকের কাজ হবে না। কারণ হিসেবে টেসলার সিইও মনে করেছেন, সে (পরাগ) খুব ভালো, যা একজন পরিচালকের একদমই থাকা উচিত নয়।
পরাগের নেতৃত্ব ঘাটতির বিষয়টি সামনে এনেছেন লেখক ওয়াল্টার আইজ্যাকসন। তিনি টেসলার সিইওর জীবনী ‘ইলন মাস্ক’ লিখতে তার সঙ্গে তিন বছর কাটিয়েছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএসজে) গত মার্চ মাসে মাস্ক -আগরওয়ালের ওই বৈঠকের বিবরণসহ বইটির একটি অংশ প্রকাশ করেছে।
ডব্লিউএসজে বলছে, বৈঠক শেষে মাস্ক বলেছেন, টুইটারের একটি ‘ক্ষিপ্ত ড্রাগন’ প্রয়োজন, যা পরাগ নন।
মাস্কের জীবনীর ওপর বইটি চলতি মাসের ১২ তারিখে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
ওই বৈঠক শেষে মাস্ক ও পরাগ নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ বার্তাও আদান-প্রদান করেছিলেন। কিন্তু সব কিছু উল্টে যায় এক মাসের মাথায়।
এপ্রিলের এক সকালে মাস্ক টুইট করেন, ‘‘এই ‘শীর্ষ’ অ্যাকাউন্টগুলোর বেশিরভাগই খুব কমই টুইট করে এবং খুব কম পোস্ট করে। টুইটার কি মরে যাচ্ছে।’’
এর ৯০ মিনিট পর পরাগ বার্তা পাঠান মাস্ককে। তিনি লেখেন, ‘‘আপনি তো স্বাধীনভাবে টুইট করছেন। ‘টুটার কি মারা যাচ্ছে।’ এটি আমার দায়িত্ব আপনাকে বলা যে, টুইটারের মান উন্নয়নে বর্তমান প্রেক্ষাপট আমাকে সাহায্য করছে না।’’
ফিরতি বার্তায় মাস্ক লেখেন, ‘আমি বোর্ডে যোগ দিচ্ছি না। এটা শুধু সময়ের অপচয়। আমি টুইটার কিনে নেওয়ার অফার দেব।’
পরাগ এর পর মাস্কের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। টুইটার বোর্ড প্রধানও কথা বলার জন্য ৫ মিনিট সময় চান। তবে মাস্ক বলেন, টুটটার ঠিক করতে পরাগের সঙ্গে আলোচনা করে লাভ নেই। কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
অক্টোবরে টুইটার কেনার চুক্তি চূড়ান্ত হয়। এর পরই পরাগকে বাদ দেন মাস্ক। সূত্র : এনডিটিভি