প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৫৮ পিএম
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৩ ১৬:২৫ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়ার নির্বাচনী ফলাফলসংক্রান্ত কারচুপির মামলায়
গ্রেপ্তারের দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ফিরে এসেছেন। ডোনাল্ড
ট্রাম্প নিজের অ্যাকাউন্ট ফিরে পেয়েই প্রথম পোস্টও করে ফেলেছেন।
শত বিতর্কের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে তিনি এখনও কতটা জনপ্রিয় তা এক্সের
প্রথম পোস্টেই ফুটে উঠেছে। তিন ঘণ্টারও কম সময়ে ট্রাম্পের প্রথম পোস্টে ভিউ হয় ৩ কোটি
৬০ লাখের বেশি। আর লাইক পড়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার।
২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট পার্টির জো বাইডেনের
কাছে হেরে যান। রিপাবলিকান এই নেতা সে ফলাফল মেনে নিতে পারেননি। নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে
এক্সে (তখনকার টুইটার) তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর অভিযোগ তোলেন নির্বাচনী ফলাফলে কারচুপি
করা হয়েছে।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের
সমর্থকরা হামলা চালায়। অভিযোগ ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে উস্কানিমূলক পোস্ট করে
সমর্থকদের ক্যাপিটল হিলে হামলা করার জন্য উৎসাহ জুগিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পরে টুইটারে সহিংসতা ও উস্কানি দেওয়ার ঝুঁকি এড়ানোর কথা বলে প্রেসিডেন্ট
থাকাবস্থাতেই ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বাতিল করা হয়।
২০২২ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কিনে নেন যুক্তরাষ্ট্রের
ধনকুবের ইলন মাস্ক। জনপ্রিয় টুইটার সাইটটি কিনে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, টুইটারে সবার নিজের
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। তিনি এটিকে বাকস্বাধীনতার দুর্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি
দেন। এমনকি এক পোস্টে তিনি ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সচল করা উচিত কি না, তার ওপর পোলের
(ভোটাভুটি) আয়োজন করেন। যেখানে অধিকাংশ টুইটার ব্যবহারকারীই ট্রাম্পকে ফিরিয়ে আনার
পক্ষে ভোট দেয়।
সম্প্রতি ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের নতুন নামকরণ করেন
এক্স।
এর আগে মি. ট্রাম্প নামের টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প
তার অনুসারীদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতেন। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই ২০১৬ সালের নির্বাচনী
প্রচারণা চালিয়েছিলেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সেই
কৃতিত্বে অংশীদারও করেছিলেন টুইটারকে। তিনি বলেছিলেন, ‘টুইটার আমার
জন্য একটি বিস্ময়কর জিনিস। কারণ আমি এই টুইটার অ্যাকাউন্টে আমার মতামত প্রকাশ করেছি।
আমি এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম না যদি আমার কাছে মতামত
প্রকাশ করার একটি সৎ উপায় না থাকত।’
সূত্র : বিবিসি।