প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৫:২৪ পিএম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৪ পিএম
নাসার স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) রকেট। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংশ্লিষ্ট
কোম্পানিগুলোকে বিদেশি চৌর্যবৃত্তি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে।
এ-সংক্রান্ত দুই পৃষ্ঠার সতর্কবার্তা বুলেটিনটি যৌথভাবে জারি করেছে,
ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), ন্যাশনাল কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড
সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) ও এয়ারফোর্স অফিস অব স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন।
সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, অন্যান্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো গবেষণা
ও বাণিজ্য গোপনীয়তা সংক্রান্ত তথ্য চুরি করার চেষ্টা করতে পারে, যাতে নিজ দেশের মহাকাশ
প্রোগ্রামগুলোর পরিধি বাড়ানো যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা
রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান মহাকাশ সেক্টরের জন্য
ক্রমবর্ধমান হুমকির আশঙ্কা করছি।
চীন ও রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ শিল্পের জন্য প্রধান বিদেশি গোয়েন্দা
হুমকি বলেও জানিয়েছেন সেই কর্মকর্তা।
সম্প্রতি মহাকাশ নিয়ে বিশ্ব শক্তিগুলোর তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি কোম্পানি এ খাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। দেশটির মহাকাশ
গবেষণা নাসাও একের পর এক উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। ঠিক সে সময় গোয়েন্দা
সংস্থাগুলোর এ সতর্কতায় নড়ে চড়ে বসেছে কোম্পানিগুলো।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিদেশি প্রকল্পে কাজ করা, কিংবা অর্থের বিনিময়ে কোম্পানির অভ্যন্তর থেকেই তথ্য বেহাত হওয়ার
শঙ্কার কথা বলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকবছর ধরেই বলে আসছে, চীনা হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের
মহাকাশ জ্ঞানকে লক্ষ্য বানিয়েছে। এ লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে নাসা গর্ডাড স্পেস সেন্টার
ও জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি।
এ ছাড়া চীনও সাম্প্রতিক সময়ে মহাকাশ অভিযাত্রায় বেশ অগ্রগতি অর্জন
করেছে। বেইজিং বলেছে, তাদের মহাকাশ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে। তবে ওয়াশিংটন দাবি
করে থাকে, বেইজিং তার সামরিক কৌশলের জন্য মহাকাশকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। চীন ২০৪৫
সালের মধ্যে মহাকাশের নেতা হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়।
সূত্র : গ্যাজেটস ৩৬০