প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৩৮ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের এক স্কুল লাইব্রেরির বই বাছাইয়ে ব্যবহার করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ছবি : সংগৃহীত
প্রযুক্তিগত খাত, আইন, চিকিৎসা, বিনোদনসহ নানাখাতে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার
ব্যবহার বাড়ছে। এমনকি স্কুলের লাইব্রেরিতে কোন বই উপযোগী হবে, তা খুঁজে বের করতেও কর্তৃপক্ষ
জেনারেটিভ এআইয়ের সহায়তা নিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।
সম্প্রতি স্কুলের লাইব্রেরিতে কোন বই থাকবে কী থাকবে না তা সিদ্ধান্ত
নিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আশ্রয় নিল যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের মেসন সিটি কমিউনিটি
স্কুল।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের লাইব্রেরীতে থাকা ১৯টি বইয়ে ‘যৌনতা’ বিষয়ক উপাদান
পেয়েছে। যা স্কুলের পাঠ্যের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়। লাইব্রেরীর বইয়ের তালিকা থেকে এই
বইগুলো খুঁজে বের করতে মূল ভূমিকা রেখেছে ওপেনআইয়ের নির্মিত সাড়া জাগানো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
‘চ্যাটজিপিটি’।
গত সপ্তাহের এ ঘটনাটি নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে মেসন সিটি
গ্লোব গ্যাজেট। কিন্তু অনেকেই বলছেন, চ্যাটজিপিটির এখনও এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার
সক্ষমতা তৈরি হয়নি। আর এসব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এখনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তা
নেওয়া উচিত নয় বলেই মনে করেন অনেকে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নিষিদ্ধ সেই বইয়ের তালিকা পরে জোগাড় করে প্রযুক্তি
পত্রিকা ভার্জের কর্মীরা। পরে সেই তালিকা ধরেই আবার চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করা হয় -সেগুলোতে
যৌনতা বিষয়ক উপাদান রয়েছে কিনা। জবাবে চ্যাটজিপিটি জানায়, এর মধ্যে কয়েকটি বইতে এমন
উপাদান নেই। অর্থ্যাৎ স্কুল কর্তৃপক্ষকে চ্যাটজিপিটি যা জানিয়েছে, আর ভার্জকে যা বলছে
-তা মোটেও এক নয়।
সূত্র : দ্য ভার্জ